এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকে বিনিয়োগ করে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান হয়েছি। আশা করছি ব্যাংকটি আগামীতে আরও ভালো করবে।
শনিবার (২৬ জুন) এনআরবিসি ব্যাংকের ৮ম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ব্যাংকটি সম্পর্কে এ কথা বলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। সাধারণ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে তিনি এজিএম-এ অংশ নেন।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় সকল পরিচালক, উদ্যোক্তা, শেয়ারহোল্ডার এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়াসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এজিএমে ২০২০ সালের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেন শেয়ারহোল্ডাররা। এরমধ্যে নগদ লভ্যাংশ সাড়ে ৭ শতাংশ এবং স্টক ডিভিডেন্ড ৫ শতাংশ।
এজিএমে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক শুধু একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানও। সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ব্যাংকটি কাজ করছে। সম্প্রতি ব্যাংকটি ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করেছে যার উদ্দেশ্য প্রান্তিক পর্যায়ের অন্তত ১ লাখ মানুষকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে সোনারবাংলা গড়ে তোলা। সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সংকটের সময় ব্যাংকটির সেবা পৌঁছে যাচ্ছে জনগণের দোরগোড়ায়। এজন্য শাখা, উপশাখা, বুথসহ অন্যান্য সেবাকেন্দ্র সারাদেশে চালু করা হচ্ছে। সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের কাজে অংশীদার হতে ট্রেজারি চালান গ্রহণ করছে ব্যাংকটি। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা দাঁড়িয়েছে ৮৩, উপশাখা রয়েছে ৪৫০টি; এর মধ্যে রয়েছে বিআরটিএ কালেকশন বুথ, পল্লী বিদ্যুতের বিল কালেকশন বুথ, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসে বুথ ও ডিপিডিসি ও ডেসকোতে বিল কালেকশন বুথ। এছাড়া সারাদেশে ৫৯৬টি এজেন্ট পয়েন্ট রয়েছে ব্যাংকটির। জনগণের সেবায় সমস্ত কর্মকাণ্ড নিয়ে এনআরবিসি ব্যাংক এগিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।