গ্রাহকের ৬৬ কোটি টাকা অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড। ফলে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে থাকা অর্থের গরমিল পেয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। গুরুতর এ অনিয়মের দায়ে মঙ্গলবার (১৫ জুন) থেকে হাউজটির লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ডিএসই’র একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলেন, ব্রোকারেজ হাউজটিতে থাকা সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে প্রায় ৬৬ কোটি টাকার গরমিল পেয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। ব্রোকারেজ হাউজটিতে তদন্ত করে বিনিয়োগকারীদের রাখা অর্থ গরমিলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে প্রতিষ্ঠানটিতে শেয়ার লেনদেন সাময়িক স্থগিতের আদেশ দিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। যা মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আবদুল মুহিতের বক্তব্য জানতে তার নম্বরে বেশ কয়েকবার কল করা হয়। কিন্তু তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ডিএসই সূত্র জানায়, স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে বানকো সিকিউরিটিজে থাকা সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের তথ্য খতিয়ে দেখে। তখন স্টক এক্সচেঞ্জের মনিটরিং বিভাগ তাদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে প্রাথমিকভাবে ৬৬ কোটি টাকার ঘাটতি দেখতে পায়। স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে একাধিকবার গ্রাহক হিসাবে রাখা অর্থ সমন্বয়ের জন্য সময় দেওয়া হলেও ব্রোকারেজ হাউজটি ব্যর্থ হয়।
গত বছরের জুনে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান ডিএসই’র আরেক সদস্য প্রতিষ্ঠান ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ ব্রোকারেজ হাউজের মালিকরা। পরে ওই প্রতিষ্ঠানটি এবং এর পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
এদিকে, গত বছরের নভেম্বর মাসে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে বানকো সিকিউরিটিজকে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন নিষিদ্ধ করা হয়। রবির আইপিও আবেদন শুরুর আগেই অবৈধভাবে শেয়ার বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে। এরপর ইস্যু ম্যানেজার বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের আনা থ্রি অ্যাঙেল মেরিন লিমিটেডের আইপিওর আবেদন বাতিল করে বিএসইসি।
রাজধানীর মতিঝিলের ইস্পাহানি ভবনের চতুর্থ তলায় বানকো সিকিউরিটিজ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।