জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় দুই অবিবাহিত তরুণীর বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২ জুন ‘দরিদ্র মায়ের মাতৃত্বকাল’ ভাতার অর্থ নেন তারা।
ভাতা নেয়া দুই তরুণী হলেন উপজেলার চরপুটিমারি ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহাদৎ হোসেন দরবেশের মেয়ে এবং একই পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারী সদস্য রুবি বেগমের অবিবাহিত মেয়ে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বুধবার ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারি ইউপির মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীদের মাঝে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের ১০০ জন নারীর মাঝে ভাতা প্রদান করেছে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড। এ দিন অন্য ভাতাভোগীদের সঙ্গে ইউপি সদস্য রুবি বেগমের অবিবাহিত মেয়ে ৬ মাসের ৪ হাজার ৮০০ টাকা ও ইউপি সদস্য শাহাদৎ হোসেনের মেয়ে ১৮ মাসের ১৪ হাজার ৪০০ টাকার মাতৃত্বকালীন ভাতা নেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ২০১৯-২০ অর্থবছরের ‘দরিদ্র মায়ের মাতৃত্বকাল’ ভাতা অনুমোদন পেয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তখন শাহাদতের মেয়ের বিয়ে দেয়নি। আর সদস্য রুবির মেয়ে তখন স্কুলে পড়েন। এলাকাবাসী এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় প্রতিবেশি আব্দুল হাকিম জানান, তাদের সম্মানী ভাতা বাতিল করাসহ সরকারি অর্থ আত্মসাতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক।
জাহাঙ্গীর কবির নামে এক ব্যক্তি জানান, ইসলামপুরে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। রাস্তা-ঘাটের কাজ না করে বরাদ্দের সিংহভাগ অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ লুটপুটে খাচ্ছে। ওই ইউপি সদস্যদের নেয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরৎ দেয়াসহ তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
চরপুটিমারি ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহাদৎ হোসেনের মতামত জানতে তার মোবাইলে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরেক ইউপি সদস্য রুবি বেগম বলেন, আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। সে এখন বিবাহিত।
চরপুটিমারি ইউপি চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান সুরুজ মাস্টার বলেন, যারা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করতে নিজেদের অবিবাহিত মেয়েদের অন্তঃসত্ত্বা বানায়, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।