করোনা মহামারিতে পোশাক শিল্প একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আবারও তৈরি পোশাক শিল্পকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৈরী প্রভাব মোকাবিলা করে পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নীতি সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
সোমবার (৭ জুন) বিজিএমইএ পক্ষ থেকে এক বার্তায় এ সহযোগিতার কথা জানানো হয়েছে। এর আগে রোববার ( ৬ জুন) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে বিজিএমইএর একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কিছু প্রস্তাব দেন।
বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান (কচি), সহসভাপতি মো. শাহিদউল্লাহ আজিম, সহসভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক মো. খসরু চৌধুরী এবং সাবেক পরিচালক মো. মুনির হোসেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাকালে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, করোনা মহামারিতে পোশাক শিল্প একটি ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এবং প্রতিকূল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদ্যোক্তারা মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পোশাক শিল্প সংক্রান্ত ইস্যুগুলো সহজীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হলে তা শিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।
পোশাক শিল্পখাতকে এ সংকটময় সময়ে টিকিয়ে রাখার নিমিত্তে আংশিক রফতানিমূল্য অপ্রত্যাবাসিত থাকলে অন্যান্য প্রত্যাবাসিত রফতানিমূল্যের বিপরীতে রফতানি ভর্তুকি ও নগদ সহায়তার আবেদন গ্রহণপূর্বক প্রক্রিয়াকরণ করা।
ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার ক্ষেত্রে রফতানিকারকের বন্ডেড ওয়্যার হাউজ লাইসেন্স এবং আইআরসি দাখিলের নিমিত্তে চাপ সৃষ্টি না করার জন্য সব তফসিলি ব্যাংকের অনুকূলে নির্দেশনা জারি করা।
বৈদেশিক বাণিজ্য লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা বিধি শিথিলকরণ বিষয়ে জারিকৃত সার্কুলারের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো।
দেশের রফতানি বাণিজ্যের স্বার্থে তারল্য সংকট নিরসনের লক্ষ্যে তৈরি পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা প্রদানের জন্য সময় এক বছর বাড়িয়ে দেওয়া।
ইএক্সপি অভারডিউ হওয়ার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন রফতানিকারকদের ইডিএফ তহবিল ব্যবহার, নগদ সহায়তা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা অব্যাহত রাখে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া।
নগদ সহায়তার আবেদনের সঙ্গে পরিবহন ডকুমেন্ট হিসেবে এফসিআরকে গ্রহণযোগ্যতা দেওয়ার বিষয়ে জারি করা এফই সার্কুলার সংশোধন করা।