আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান তিনি।
বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বক্তৃতার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার এটি তৃতীয় বাজেট।
নতুন অর্থবছরে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘাটতি হতে যাচ্ছে ৫০তম এ বাজেটে। আলোচিত এ বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ঘাটতি পূরণের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক খাত থেকে নেয়া হবে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার এক কোটি টাকা নেয়া হবে।
নতুন অর্থবছরের প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হবে ৪৮ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার এবং চলতি অর্থবছরের সংশোধিত হিসাব অনুযায়ী বছর শেষে ৪৪ বিলিয়ন ডলার হবে বৈদেশিক রিজার্ভ। চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় রিজার্ভ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৪ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।