সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড নিয়ে এলো দেশে প্রথমবারের মত আল-ওয়াসিয়্যাহ বিল ক্যাশ ওয়াক্ফ হিসাব। এর আওতায় ৪০ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের যে কোন সচ্ছল ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় ওয়াক্ফকৃত টাকার মুনাফার অংশ ভোগ করতে পারবেন এবং মৃত্যুর পর অর্জিত মুনাফা থেকে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণে ব্যয় করার জন্য তিনি অসিয়ত করে দিতে পারবেন। ক্যাশ ওয়াক্ফ হিসাবের মতো এটিও একটি স্থায়ী দান।
২৩ মে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন এই হিসাবটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নাসের চৌধুরী, মোঃ সিরাজুল হক, মোঃ সামছুল হক ও মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, কোম্পানি সচিব আব্দুল হান্নান খান, মার্কেটিং এন্ড ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিভিশনের প্রধান মোঃ মনিরুজ্জামান এবং শরীআহ সুপারভাইজারী কমিটি সেক্রেটারীয়েট এর প্রধান মোঃ মাহফুজুর রহমান ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ সময় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপকগনও যুক্ত থাকেন।
ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নাসের চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, কোন ব্যক্তি ‘মৃত্যুর পর ওয়াক্ফ কার্যকরের শর্তারোপ’ করে জীবদ্দশায় মুদারাবা নীতিমালায় “আল ওয়াসিয়্যাহ বিল ক্যাশ ওয়াক্ফ” হিসাব খুলতে পারবেন। তবে ‘আল-ওয়াসিয়্যাহ বিল ক্যাশ ওয়াক্ফ’ এর ক্ষেত্রে ওয়াকিফ (হিসাবধারী) যতদিন জীবিত থাকবেন ততদিন জীবিকা নির্বাহের জন্য ওয়াক্ফকৃত টাকার মুনাফার সম্পূর্ণ অংশ বা প্রয়োজন অনুযায়ী অংশবিশেষ ভোগ করতে পারবেন এবং মৃত্যুর পর অর্জিত আয়/মুনাফা দ্বারা বিভিন্ন ধর্মীয়, শিক্ষা এবং সামাজিক সেবায় দান করে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ অর্জন করতে পারবেন। অনিবার্য কারণে জীবিতাবস্থায় ওয়াকিফ মূল টাকার সম্পূর্ণ/আংশিক নগদায়নও করতে পারবেন।
ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সিরাজুল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৪০ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের যে কোন ব্যক্তি ৫,০০,০০০.০০ (পাঁচ লক্ষ) বা এর অধিক যে কোন পরিমাণ টাকা জমা করে এ হিসাব খুলতে পারবেন। ওয়াকিফ তাঁর/তাঁদের সম্পদের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত সম্পদ ওয়াক্ফ করতে পারেন, তবে এর বেশী পরিমাণ টাকা ওয়াক্ফ করতে চাইলে ওয়াকিফের য়ারিশ/উত্তরসূরিদের কাছ থেকে লিখিতভাবে পূর্বানুমতি নিতে হবে।