যোগ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খুঁজে পাচ্ছে না ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। প্রথম দফায় বিজ্ঞাপন দিয়ে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পায়নি ডিএসই। এ কারণে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ডিএসইকে শোকজ করে। এরপর আবারও এমডি চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে ডিএসই। এজন্য আগ্রহীদের আগামী ৩০ মে’র মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এমডি হতে আগ্রহীদের ৩০ মে’র মধ্যে ডিএসইর এইচআর বিভাগের প্রধান বরাবর আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার কাগজপত্রসহ পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে। এমডি পদের জন্য তিনটি শর্ত দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রার্থীকে ব্যবসা, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান, গণিত বা আইনে ব্যাচেলর ডিগ্রিসহ ১০ বছরের ম্যানেজমেন্টের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সিএফএ, সিএ, সিএমএ, সিএস, সিপিএ প্রভৃতি পেশাজীবী সনদসহ ১০ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে ও পুঁজিবাজার নিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রার্থীর ক্ষেত্রে উপরের দুই শর্ত পরিপালন না করলেও হবে।
এর আগে আইন লঙ্ঘন করে তিন মাসের অধিক সময় ধরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ খালি রাখায় ডিএসইকে শোকজ করে বিএসইসি। তার আগে অযোগ্য ব্যক্তিকে এমডি হিসেবে বাছাই করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এ কারণে ডিএসইর এমডি নিয়োগের সেই আবেদন নাকচ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এর আগে একই শর্ত দিয়ে গত বছরের নভেম্বরে এমডির খোঁজে বিজ্ঞাপন দেয় ডিএসই। সে সময় আবেদন করাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে সিটি ব্যাংকের সাবেক চিফ কান্ট্রি কমপ্লায়েন্স অফিসার (সিসিসিও) ও চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অফিসার (সিএএমএলও) এম আশিক রহমানকে নির্বাচন করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। তবে আশিককে এমডি হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন চাইলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইর আবেদন বাতিল করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ডিএসইর আইন অনুযায়ী, ৯০ দিনের বেশি এমডি পদ খালি রাখার সুযোগ নেই।
এদিকে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য ডিএসইর এমডি পদে যোগদান করেন কাজী ছানাউল। তার নিয়োগ নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি ছিল ডিএসইর পর্ষদ সদস্যদের মধ্যে। শেয়ারধারী পরিচালকদের একটি অংশ তার নিয়োগের বিরোধিতা করেন। তবে ডিএসইর চেয়ারম্যানসহ স্বতন্ত্র পরিচালকদের বেশিরভাগ ছানাউল হকের পক্ষে অবস্থান নেন। নানামুখী চাপে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই গত বছরের ৮ অক্টোবর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ছানাউল হক। তার পদত্যাগ চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। এরপর থেকেই ডিএসইর এমডি পদটি খালি রয়েছে।