ঢাকা শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
বাণিজ্য ঘাটতি ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার
  • ব্যাংকবীমাবিডি
  • ২০২১-০৫-২১ ০০:৫৬:৫৮

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এক হাজার ৪৪৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। দেশীয় মুদ্রায় ঘাটতির এ পরিমাণ এক লাখ ২৩ হাজার ২২৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) ওপর করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্যে পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যালান্স অব পেমেন্টের তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে দুই হাজার ৮২৭ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে চার হাজার ২৭৬ কোটি ডলার। সে হিসাবে ৯ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৪৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় ঘাটতির এ পরিমাণ এক লাখ ২৩ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।

এ সময়ে পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ তার আগের বছরের তুলনায় ০.০৬ শতাংশ বেশি আয় করেছে। বিপরীতে পণ্য আমদানির ব্যয় আগের বছরের চেয়ে ৬.০৪ শতাংশ বেড়েছে। দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের চাহিদা কিছুটা  বেড়ে যাওয়ায় আমদানিজনিত চাহিদাও বেড়েছে। তাই আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে স্বল্প পরিসরে। তবে দেশের প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ চাঙা থাকায় বাণিজ্য ঘাটতি কম হয়েছে। প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।

বিমা, ভ্রমণ প্রভৃতি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়। কভিডকালে মানুষ কম ভ্রমণ করেছে। অন্যদিকে আমদানি-রপ্তানি কম হওয়ায় বিমার খরচও কমে গেছে। ফলে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কম হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে এ খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৯১ কোটি ডলার। গত অর্থবছর একই সময়ে তা ছিল ২৩৬ কোটি ডলার।

মহামারিতে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার প্রভাব সরাসরি পড়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) ওপরও। গত অর্থছরের জুলাই-মার্চে ২৪৯ কোটি ১০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশ। একই সময় চলতি অর্থবছরের তা সামান্য বেড়ে ২৫৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারে পৌঁছেছে।

বাংলাদেশের নানা খাতে সরাসরি মোট যে বিদেশি বিনিয়োগ আসে তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ নিয়ে যাওয়ার পর যেটা অবশিষ্ট থাকে সেটাকে নিট এফডিআই বলা হয়। আলোচিত সময়ে নিট বিদেশি বিনিয়োগও আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৭.৯৬ শতাংশ কমে ৯৪ কোটি ডলারে নেমেছে। গত বছর একই সময় নিট বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১০৩ কোটি ডলার।

এদিকে করোনার মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনীতির অবস্থা যখন নাজুক এমন পরিস্থিতিতেও দেশের

অর্থনীতির অন্যতম সূচক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স) উদ্বৃত্ত বাড়ছে। চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো, নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে চলতি হিসাবে ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত রয়েছে, যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ঋণাত্মক ছিল প্রায় ২৬৫ কোটি ১০ লাখ ডলার।

এদিকে সার্বিক রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়ার কারণে ভারসাম্যেও (ওভারঅল ব্যালান্স) ৬৯৯ কোটি ডলারের বেশি উদ্বৃত্ত ধরে রেখেছে বাংলাদেশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এ ৯ মাসে ১ হাজার ৮৫৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছর একই সময়ে পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৩৭৬ কোটি ডলার।

৩১ মার্চ থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা
বেলা ৩টার পর আড্ডা দিতে কর্মীদের অর্থ প্রদান
রিটার্ন জমার সময় দুই মাস বাড়ল