পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ও মোট সম্পদ (এনএভি) বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
এতে দেখা যায়, জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৪ পয়সা। গত বছরের জানুয়ারি-মার্চে যা ছিল ২৮ পয়সা। আলোচ্য সময়ে এককভাবে ইপিএস ২৭ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪১ পয়সা।
চলতি বছরের মার্চ শেষে সমন্বিত হিসেবে ব্যাংকটির ব্যালেন্সশিটের আকার দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৫০ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭৮৯ টাকা। যা গত বছরের মার্চে ছিল ১২ হাজার ১৬ কোটি ৮৮ লাখ ১৪৪ টাকা।
এছাড়া সমন্বিতভাবে চলতি বছরের মার্চে ব্যাংকটির মোট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১১ কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৭৭ টাকা। গতবছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ৯৮৩ কোটি ৫০ লাখ ৬৭ হাজার ১৭২ টাকা।
এককভাবে এনএভি হয়েছে ১ হাজার ১০৫ কোটি ৫৬ লাখ ৮ হাজার ৮২৯ টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ৯৭৯ কোটি ৭৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭১০ টাকা।
সমন্বিতভাবে ২০২১ সালের মার্চে শেয়ার প্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮২ পয়সা। গত বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ১৪ টাকা। আর এককভাবে শেয়ারপ্রতি এনএভি ১৫ টাকা ৭৪ পয়সা, গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১৩ টাকা ৯৫ পয়সা।
পরিচালনা পর্ষদের সভায় জানানো হয়, করোনাকালে ব্যাংকটি তার নেটওয়ার্ক বিস্তার এবং ব্যাংকিং সেবার প্রসার ঘটিয়েছে। এতে নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে। গত বছরের মার্চে ব্যাংকের শাখা ছিল ৭৫টি, যা এ বছরের মার্চে তা বেড়ে হয়েছে ৮৩টি। উপশাখা ছিল ১৮২টি, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪২৩টি। নতুন শাখাগুলোতে প্রত্যক্ষভাবে ২ হাজার ৫০০ জনের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত এই পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যাংকের পরিচালক রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, মোহাম্মদ আদনান ইমাম, এ এম সাইদুর রহমান, আবু বকর চৌধুরী, মোহাম্মদ ওলিউর রহমান, লকিয়ত উল্লাহ, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, বিকল্প পরিচালক ডা. কুতুব উদ্দিন, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, এয়ার চিফ মার্শাল (অব.) আবু এশরার ও রাদ মুজিব লালন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম আউলিয়া, এএমডি কাজী মো.তালহা, ডিএমডি ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।