ফিচ রেটিংস বাংলাদেশের আইডিআর (লং টার্ম ফরেন কারেন্সি ইস্যুয়ার ডিফল্ট রেটিং) রেটিং করেছে বিবি মাইনাস। তবে বলেছে, দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল। সম্প্রতি ফিচ রেটিংস এই তালিকা প্রকাশ করেছে। এর আগের রেটিংয়েও বাংলাদেশ বিবি মাইনাস পেয়েছিল। ফিচ বলেছে, সরকারের ঋণ বাড়ছে, পরিমাণের দিক থেকে তা এখনো খুব বেশি না হলেও সরকারের রাজস্ব আদায় কম, ফলে এটিকে তারা দুর্বল জায়গা হিসেবেই চিহ্নিত করেছে। এ ছাড়া ব্যাংকিং খাত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ দুর্বল বলে মনে করে তারা। কোভিড-১৯-এর প্রকোপে বাংলাদেশের রপ্তানি কমে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক বিধিনিষেধের কারণেও রপ্তানিমুখী শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতের প্রসঙ্গে টেনেছে ফিচ রেটিংস। বলেছে, জিডিপিতে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ জোগান দেয় এই তৈরি পোশাক খাত। কিন্তু মহামারির কারণে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০ শতাংশ কমেছে। দেশব্যাপী সাধারণ ছুটির কারণে ব্যক্তিগত পরিসরে ভোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ফিচ রেটিংস মনে করে, বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রার মান স্থিতিশীল ও প্রতিযোগিতামূলক রাখার নীতি বজায় রাখবে। এই মুহূর্তে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেক ভালো অবস্থানে আছে বলে মনে করে তারা। তবে পরিস্থিতি এমন না–ও থাকতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে তারা। হঠাৎ অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে বাংলাদেশ ব্যাংককে আগ্রাসীভাবে হস্তক্ষেপ করতে হতে পারে। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে এই খাতে ব্যয় অনেকটা বেড়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে রাজস্ব আদায় বাড়েনি। এতে প্রতিবছরই বাজেট ঘাটতি বাড়ছে। মহামারির কারণে সেই ঘাটতি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে ফিচ রেটিংস। সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৫ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করলেও ফিচ মনে করে, প্রকৃত ঘাটতির পরিমাণ ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। তারা ধারণা করছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, যদিও সরকারের প্রাক্কলন অনুসারে এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ শতাংশ। প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এই পরিস্থিতি দাঁড়াবে বলে মনে করছে ফিচ।