রিজওয়ান দাউদ শামসকে প্রতিষ্ঠানের প্রথম অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) পদে নিয়োগ দিয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। তিনি এর আগে প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বুধবার (৫ মে) আইপিডিসির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, টিম ডেভেলপমেন্ট ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় রিজওয়ান দাউদ শামসের ১৮ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর কর্পোরেট বিনিয়োগের অধীনে সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে আইপিডিসিতে যোগদান করেন এবং পরের বছরগুলোতে সংগঠনকে রূপান্তরিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
তার অনুকরণীয় নেতৃত্বে, কর্পোরেট ব্যবসায়িক পোর্টফোলিও গত পাঁচ বছরে ৬ গুণেরও বেশি বেড়েছে। দেশব্যাপী সিএমএসএমই গড়তে অবদান রাখা এসএমই ব্যবসার নতুন লক্ষ্য নির্ধারিত হওয়ার পর তিনি নতুন কাঠামোতে এসমএমই ডিপার্টমেন্টকে সাজান। ২০১২ সালে তার হাত ধরেই আইপিডিসি-তে ‘সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স’ (এসসিএফ) চালু হয় এবং বর্তমানে এসসিএফের বাজারের ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ার আইপিডিসি ফাইন্যান্সের।
ডিজিটাইজেশন এবং পরিবর্তিত ব্যবসায় জগতকে কেন্দ্র করে বড় কৌশলগত উদ্যোগ যেমন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম ব্লকচেইনভিত্তিক সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স প্ল্যাটফর্ম ‘অর্জন’ এবং এআইভিত্তিক খুচরা বিক্রেতাদের অর্থায়নের প্ল্যাটফর্ম ‘ডানা’ তার বুদ্ধিদীপ্ত নির্দেশনায় গড়ে উঠেছে। তার দক্ষতা এবং ট্রেজারি অপারেশনে সুনিপুণ পরিচালনা পোর্টফোলিও বৃদ্ধির ঊর্ধ্বহার নিশ্চিত করেছে। বাজার বিবেচনায় আইপিডিসি-র খেলাপি ঋণের হার-এর স্বল্পতার পেছনে তার বিচক্ষণতা এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার রয়েছে বিরাট অবদান ।
আইপিডিসিতে যোগ দেওয়ার আগে শামস জিএসপি ফাইন্যান্স, হাবিব ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের (এসসিবি) বিভিন্ন কৌশলগত পজিশনে কাজ করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি পেশাগত জীবনে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পুরস্কার এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্বীকৃতিতে ভূষিত হয়েছেন।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স-এর এএমডি মি. রিজওয়ান ডি শামস বলেছেন, ‘আমরা হয়তো অনেক দূর এগিয়ে এসেছি, তবু আমাদের সামনে রয়েছে আরও অনেক সম্ভাবনা। আইপিডিসি-তে আমার নতুন ভূমিকায় সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করা এবং আইপডিসির যাত্রাকে আরও বেশি অর্থবহ করাই হবে আমার কাজের অনুপ্রেরণা। বিদ্যমান শক্তিশালী জায়গাগুলো অক্ষুণ্ন রেখে আর্থিকখাতের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ তৈরিতে কাজ করতে চাই।’