সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর পর হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বয়ংক্রিয়ভাবে চেক নিষ্পত্তি ও অনলাইন অর্থ স্থানান্তর বা ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ব্যবস্থা। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চেক নিষ্পত্তি সচল হলেও ইএফটি বন্ধ থাকে এক সপ্তাহ। ফলে সাধারণ গ্রাহকের পাশাপাশি বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও ভোগান্তিতে পড়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই কারিগরি ত্রুটির কারণ নির্ণয় ও ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইসিটি বিভাগের ২২ কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটিকে আগামী ১৫ মে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুরো আইসিটি অবকাঠামো দেখভালের দায়িত্ব থেকে পুরোনোদের সরিয়ে এই কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুরো আইসিটি সিস্টেম একটি চক্রের কাছে আটকে ছিল, যে কারণে সময়োপযোগী অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। এর মাধ্যমে নতুন করে যাত্রা শুরু করবে পুরো আইসিটি সিস্টেম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে প্রতিষ্ঠানটির আইসিটি অবকাঠামোয় কারিগরি ত্রুটির কারণ ও তার ব্যাপকতা নিরূপণ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মেজবাউল হকের নেতৃত্বে আইসিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজমেন্ট টিম গঠনের কথা জানানো হয়। এই কমিটি সামগ্রিক আইসিটি অবকাঠামোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা নিশ্চিতে কাজ করবে।
কমিটির অন্য কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে, আইসিটি অবকাঠামো পুনর্গঠনে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। জাতীয় পরিশোধ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অ্যাপসের কারিগরি ও অবকাঠামো ত্রুটি চিহ্নিত করে নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ। দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় পরিশোধ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অ্যাপের একটি পৃথক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা দল কর্তৃক স্বাধীনভাবে পরিচালনার কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন।
এই কমিটি এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সব আইসিটি অবকাঠামো (ডেটা সেন্টার, নেওয়ার ডেটা সেন্টার, ডিজাস্টার রিকভারি সাইট, সার্ভার রুম, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি) ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করবে। পাশাপাশি ত্রুটি চিহ্নিত করে সব সেবা নতুন ডেটা সেন্টারে স্থানান্তর করবে।