শেয়ারবাজারে আসতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে চতুর্থ প্রজন্মের মিডল্যান্ড ব্যাংক। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে অনুমতি চেয়েছে তারা। পাশাপাশি ব্যাংকটি তাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩৫ লাখ শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক চর্চার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বত্ব মনোভাব গড়ে তুলতে চায় মিডল্যান্ড ব্যাংক।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে কার্যক্রম শুরু করা মিডল্যান্ড ব্যাংকের তিন বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে আসার বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে বিভিন্ন কারণে তা হয়ে ওঠেনি। এখন চলতি বছরের মধ্যে বাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় তারা। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন পেয়েছে ব্যাংকটি। সঙ্গে কর্মকর্তাদের মধ্যে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ৩৫ লাখ শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি। তবে এখনো তালিকাভুক্ত হতে বিএসইসি থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। আইপিওর মাধ্যমে ৭০ কোটি টাকা তুলতে চায় মিডল্যান্ড ব্যাংক।
মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান-উজ জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে আমরা তালিকাভুক্ত হতে চাই। তবে তা নির্ভর করছে বিএসইসির সিদ্ধান্তের ওপর। আমরা নিজেদের মূলধন বাড়াতে নয়, শেয়ারবাজারে আসছি ব্যাংকটিতে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে। আর কর্মকর্তারা যাতে ব্যাংকটিকে নিজেদের মনে করে আরও সক্রিয় হন, সে জন্য তাঁদের জন্য শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’
আহসান-উজ জামান আরও বলেন, কর্মকর্তারা আবেদন করলেই শেয়ার পাবেন। কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকার শেয়ার কেনার চাহিদা দিয়েছেন। এসব শেয়ার দুই বছর পর্যন্ত লকইন থাকবে। বাকি ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার পাবেন ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
এর আগে চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। আজ শেয়ারবাজারে ব্যাংকটির শেয়ার ১১ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়। এদিকে শেয়ারবাজারে আসতে আবেদন করেছে একই প্রজন্মের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকও।