শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো এখন থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দিতে পারবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক হয়।
আগে ব্যাংকগুলো লভ্যাংশ প্রদানের সর্বেোচ্চ সীমা ছিল ৩০ শতাংশ। এছাড়াও বৈঠকে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি বোনাস লভ্যাংশও দিতে পারে, সেই বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংক সমন্বিতভাবে কাজ করাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারতো। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ছিল। তবে আজকে আলোচনার মাধ্যমে সেটা আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। ৩৫ শতাংশের মধ্যে বোনাস ও নগদ লভ্যাংশ কত করে হবে, সেটা পরে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করবে।
মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারতো, যার পুরোটা নগদ। এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বোনাস লভ্যাংশও দিতে পারে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পরে স্পষ্ট করবে।
দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠকে বিএসইসির পক্ষে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ কর্মকর্তারা ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে একজন নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ছিলেন।