জানুয়ারিতে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৫.২১ হাজার কোটি টাকার, যা গেল বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে তিন গুণ বেশি। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ সীমা কমিয়ে দেয়া, ইলেট্রনিক ব্যবস্থা চালু করা, টিআইএন বাধ্যতামূলক করার পরও এ খাতে বিনিয়োগকারীদের আটকানো যাচ্ছে না। চলতি বছরের শুরুর মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে উলস্নম্ফন হয়েছে। জানুয়ারিতে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৫.২১ হাজার কোটি টাকার। যা গেল বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে তিন গুণ বেশি। আর গেল বছরের জানুয়ারির চেয়ে দ্বিগুণ বেশি।
এদিকে জানুয়ারি-সহ চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ২৫.৭ হাজার কোটি টাকা, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় তিন গুণ বেশি।২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে নিট সঞ্চয়পত্র হয়েছিল ৭.৬৭ হাজার কোটি টাকার।
চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ২০ হাজার কোটি টাকা নেয়ার কথা থাকলেও, সাত মাসে তা প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি চলে গেছে। ব্যাংক আমানতের সুদহার কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সঞ্চয়পত্রের দিকেই ঝুঁকছেন। বর্তমানে ব্যাংক আমানেতের গড় সুদহার ৫ শতাংশের নীচে সেখানে সঞ্চয়পত্রে সুদের হার গড়ে ১১ শতাংশ।
তাই সরকার না চাইলেও বিক্রি কামানো যাচ্ছে না। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিক্রি হওয়ায় সরকারের সুদ জনিত ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এ প্রসঙ্গে পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমানে ব্যাংক আমানত ও সঞ্চয়পত্রের সুদের মধ্যে পার্থক্য বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগকারীরা সঞ্চয়পত্রে ঝুঁকছে। এক্ষেত্রে কারও কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, সব কিছুর সাথে সামঞ্জস্য রাখতেই এই সুদহার কমানো উচিত। না হলে অর্থবছর শেষে সরকারকে সঞ্চয়পত্রের সুদ-বাবদ অনেক বেশি খরচ বহন করতে হবে। না হলে সরকার 'গর্তে' পড়বে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, রাজস্ব আয় এমন বাড়ছে না যে- এই সুদ পরিশোধে কোনো সমস্যা হবে না। বরং রাজস্ব আয়ের যে পরিস্থিতি, তাতে অন্যান্য ব্যয় কমিয়ে সুদ পরিশোধ করতে হবে।