ঢাকার আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকার একটি মিনি ক্যাসিনো থেকে মাদকসহ ২১ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। রবিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বাইপাইল এলাকার কাইচাবাড়ি এলাকায় মিনি ক্যাসিনোয় ঝটিকা অভিযান চালানো হয়। এ সময় জুয়ার আসর থেকে প্লেয়িং কার্ডসহ একটি ইলেক্ট্রিক ক্যাসিনো বোর্ড, ১০০ ইয়াবা, ১২ ক্যান বিদেশি বিয়ার, ২২টি মোবাইল এবং নগদ ৩৮ হাজার টাকাসহ ২১ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করা হয়।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের এক বছরের বেশি সময়ের পর আবারও আশুলিয়ায় এ ক্যাসিনোর সন্ধান পেয়েছে র্যাব। জানা গেছে, এ ক্যাসিনোতেই প্রতিদিন ৩০০ জনের বেশির জুয়াড়ি আসতো। প্রতিরাতে খেলা হয় ১০-১৫ লাখ টাকার। র্যাব বলছে, শুধু আশুলিয়া না, মিরপুরসহ অনেক জায়গায় এমন আরও ক্যাসিনোর সন্ধান আছে তাদের কাছে।
রবিবার দুপুরে মিরপুর পাইকপাড়ায় র্যাব-৪ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, এই জুয়ার আসরে খেলতেন অধিকাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ। যাদের অনেকেই জুয়ায় আসক্ত হয়ে হারিয়েছেন তাদের নিত্যদিনের আয়।
গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, এই মিনি ক্যাসিনো চলছিল গত দেড় বছর ধরে। প্রতিরাতে ৩০০ জনের অধিক মানুষ ১০-১৫ লাখ টাকার জুয়া খেলতো। এ ক্যাসিনোতে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত খেলতো। রাত যত গভীর হতো ক্যাসিনো তত জমে উঠতো।
তিনি বলেন, ‘এই ক্যাসিনো ব্যবসার মালিকানায় রয়েছেন প্লাবন হোসাইন ও ওমর ফারুক নামে দু’জন। যদিও তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হইনি। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে এই মিনি ক্যাসিনো সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা জানতে পারবো।’
ক্যাসিনো থেকে উদ্ধার করা জিনিসপত্র
এই মিনি ক্যাসিনোর বোর্ড কীভাবে আমদানি করা হয়েছে জানতে চাইলে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, এই বোর্ড আমদানি করা হয়েছে মালয়েশিয়া থেকে। তবে দেখে মনে হচ্ছে সম্প্রতি আমদানি করা হয়নি। আপনারা জানেন, অনেক বড় বড় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব। সমাজের খুব বড় বড় তথাকথিত গ্যাংস্টারকে আটক করা হয়েছে। তারা কে কীভাবে এই ক্যাসিনো বোর্ড আমদানি করেছে সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। অবৈধভাবে যারাই এই বোর্ড আমদানি করুক না কেন, খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’