রফতানি ঋণপত্রের বিপরীতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানিতে অবশ্যই বন্ড লাইসেন্স থাকতে হবে। রাজস্ব বোর্ডের এ বিধান নিয়ে কোনো আপত্তি নেই ব্যবসায়ীদের মধ্যেও। তবে একই ধরনের রফতানি ঋণপত্রের বিপরীতে দেশীয় কাঁচামাল সংগ্রহে এ নীতি মানতে নারাজ তারা। বরং এ বিধানকে ব্যবসা সহজীকরণের পথে বাধা হিসেবে দেখেন রফতানিমুখী শিল্পোদ্যোক্তারা। তাদের দাবিকে যৌক্তিক মেনে এ আইন পরিবর্তনের সময় এসেছে বলে মনে করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরেরর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ।
আর খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্ড লাইসেন্সের আওতায় থাকা রফতানি পণ্য তৈরিতে দেশি কাঁচামাল ব্যবহারে নীতি সহায়তা না পেলে দেশে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারাবেন উদ্যোক্তারা।
বন্ড লাইসেন্স, যে লাইসেন্সের আওতায় শর্তসাপেক্ষে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ পেয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
শর্তগুলো: ১. আমদানি করা কাঁচামাল রাখতে হবে সরকারের বন্ডেড ওয়্যারহাউজে। ২. চাহিদা মোতাবেক কাঁচামাল ব্যবহারের অনুমতি দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ৩. চূড়ান্তভাবে রফতানিমুখী পণ্য তৈরিতেই এই কাঁচামাল ব্যবহার করা যাবে। শর্ত পূরণ করে পাওয়া বিশেষ এ সুযোগ প্রতিযোগিতার বাজারে বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে রফতানিকারকদের।
তবে, এ বন্ড লাইসেন্সই আবার বিপাকে ফেলেছে তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের। বন্ড লাইসেন্স না থাকলে শুল্ক সুবিধা পাওয়া রফতানি ঋণপত্রের বিপরীতে স্থানীয় পণ্য ব্যবহারে খুলতে দেয়া হচ্ছে না ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি। এমন দাবি করে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি কাঁচামালেই নিট পোশাকের বেশির ভাগ রফতানি পণ্য প্রস্তুত করা সম্ভব।
রফতানিমুখী শিল্পের এ সমস্যা সমাধানে এনবিআর আর বাংলাদেশ ব্যাংক দায়িত্ব চালাচালি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যানের মোহাম্মদ আবদুল মজিদের মতে, সময় এসেছে যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছানোর। সময় সংবাদকে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিকেএমইএয়ের দরখাস্তের নিষ্পত্তি ঘটানো উচিত। কারণ তারা যেসব যুক্তি দেখিয়েছে সেগুলো আমি আবার বলছি যদি অন্য কোনো সেক্টরের বা অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে ভিন্নরূপ কোনো যদি মত বা বিষয় না থাকে তাহলে সেটি বিবেচনা করা যেতে পারে।