কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড শাখার পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের একজন গ্রাহকের একাউন্ট থেকে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ব্যাংকের দাবি সিসিটিভি হার্ডডিস্ক পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রাহক ব্যাংক থানায় দুইটি জিডি করেছেন।
মঙ্গলবার গ্রাহক কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউপির আলোকদিয়া গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের অভিযোগে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহক নজরুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে পূবালী ব্যাংক থেকে তার মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস আসে। এতে উল্লেখ ছিল, তার একাউন্ট থেকে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। উত্তোলনের পর ব্যালেন্স রয়েছে ৪৪ হাজার ৩৬৭ টাকা। প্রথমে ভেবেছি এসএমএসটি হয়ত ভুলে এসেছে। সেজন্য ব্যাংকের সিনিয়র কারো মোবাইল ফোন নম্বরও আগে থেকে সংরক্ষণ করিনি। পরবর্তী তিনদিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। সোমবার ব্যাংকে গিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে পারি।
ব্যাংকে কর্মরত অফিস সহায়ক তাপস কুমার দাস বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার আগে মাথা, হাত ও পায়ে ব্যান্ডেজ করা একজন গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে আসে। অসুস্থ মনে করে তাকে সহায়তা করি। তার চেক ক্যাশিয়ার বিশ্বজিৎতের কাছে পৌঁছে দিই। তিনি স্বাক্ষরে গড়মিল আছে বলে চেকে গ্রাহকের আরেকটি স্বাক্ষর নেন। এরপর সেকেন্ড অফিসার জাহিদ চেকটি অনুমোদন করে দেন। নাইট গার্ড এরশাদ বিশ্বজিতের কাছ থেকে টাকাগুলো নিয়ে ব্যাগে করে গ্রাহককে বুঝিয়ে দেন। গ্রাহক গণনা ছাড়াই টাকা নিয়ে চলে যান।
ঘটনার দিন ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা সেকেন্ড অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের পেছনের একটি ভেন্টিলেটর ভেঙে সিসিটিভি’র হার্ডডিস্ক পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় সোমবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, গ্রাহক ও ব্যাংক ২টি জিডি করেছে। টাকা আত্মসাতের বিষয়ে ভুক্তভোগীকে দুদকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।
পূবালী ব্যাংক লি. এর কুমিল্লা ডিজিএম লতিফুর রহমান গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই শাখায় কর্মরত নাইটগার্ড এরশাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জোনাল অফিসে ডেকে এনেছি। মঙ্গলবার থেকে ব্যাংকে অডিট চলছে।