বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছে না। তার রক্তের প্লাটিলেট কাউন্ট কমে যাচ্ছে। তিনি সম্ভবত বেন স্ট্রোক করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য আইসিইউর যন্ত্রপাতি খুলে এক মুহূর্তের জন্যেও তাকে বাইরে নেয়া যাচ্ছে না। তাই পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া আরও বলেন, বিএসএমএমইউর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন ইব্রাহিম খালেদ। তার ফুসফুস ৮০ শতাংশ ড্যামেজ ছিল। করোনার চিকিৎসাকালে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ায় শরীরে ১৭ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। সেখানে তিনি আইসিইউতে ছিলেন। তবে চিকিৎসায় করোনা নেগেটিভ হলেও বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। গতকাল রোববার তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সোনালী, অগ্রণী ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।