ঢাকা রবিবার, মে ৫, ২০২৪
মাছ ব্যবসায়ীর ঋণ ছিল ৮ কোটি, সুদে-আসলে এখন ১৭৬ কোটি
  • ব্যাংকবীমাবিডি
  • ২০২১-০১-১১ ২১:৩২:৩৪

সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার অর্থ ঋণ মামলায় সিরাজুল ইসলাম নামের এক পলাতক মাছ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার সাতক্ষীরা থেকে সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে।

সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা শহরতলীর বাগানবাড়ি এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে সিরাজুল ইসলাম তার মাছের আড়তের জন্য ১৯৮৪ সালে প্রথম ৬০ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরবর্তীতে আরো কয়েক দফায় ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ করার পর বকেয়া টাকা না দেওয়ায় তাকে টাকা পরিশোধের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এর পরও টাকা পরিশোধ না করায় ১৯৯৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংকের সাতক্ষীরা শাখার ব্যবস্থাপক কাজী হাফিজুর রব বাদি হয়ে আট কোটি ৪০ লাখ টাকা পাওনা দেখিয়ে সিরাজুল ইসলামের নামে যুগ্ম সহকারি জজ প্রথম আদালতে এনআইএক্টের ১৩৮ ধারায় মামলা দায়ের করেন।

২০০৫ সালের ১৬ জানুয়ারি ১৫ কোটি ২২ লাখ ৯২ হাজার ১৬৪ টাকার ডিক্রি জারি করে বিচারক সিরাজুল ইসলাম তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। ওই বছরের পহেলা জুন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অর্থ ঋণ আদালতে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার মামলা করেন। আদালত সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এরপর ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনরায় জারি মামলা করেন। মামলায় তার কাছে ১৭৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বকেয়া দেখানো হয়। পলাতক থাকাকালীন রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন জানান, সাজা হওয়ার পর সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন পলাতক ছিল।

সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায় বলেন, সোমবার বিকেলে সিরাজুল ইসলামকে সিআউডি আদালতে সোপর্দ করার পর বিকেল ৫টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাউথইস্ট ব্যাংকে গ্রাহকের মতবিনিময় সভা
ব্যাংকগুলো শাখা খোলার পরিবর্তে ডিজিটাল মাধ্যমকে গুরুত্ব দিচ্ছে
আইএফআইসি ব্যাংক থেকে গ্রাহকের ২০ লাখ টাকা ছিনতাই, ২ পুলিশ গ্রেপ্তার