এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান তাদের নোটিশ পাঠান। নোটিশে আগামী ১৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে তাদের উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন-পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সিইও এবং এমডি সামী হুদা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আহমেদ জামাল, সিএফও মানিক লাল সম্মাদার, হেড অব ক্রেডিট মো. মাহমুদ কায়সার।
অবৈধ ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ উত্স থেকে অর্জিত সম্পদের বেশিরভাগই বিদেশে, বিশেষ করে কানাডায় পাচার করেছেন পি কে হালদার। বর্তমানে নিজেও বিদেশে অবস্থান করছেন। তবে ঢাকায় তার নামে একাধিক বাড়ি, প্লট ও ফ্ল্যাট রয়েছে এবং নামে-বেনামে একাধিক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
ক্যাসিনো-সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রথম যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে, তাদের মধ্যে প্রশান্ত কুমার হালদার একজন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০১৯ সালের বছরের ১৪ নভেম্বর ও ২০২০ সালের ১০ আগস্ট হাজির হতে নোটিশ পাঠিয়েছিল দুদক। তবে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ৩ অক্টোবর তিনি দেশ ছাড়েন বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
গত ৮ জানুয়ারি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা পাচারেরও অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।