প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানির শেয়ার আনুপাতিক হারে বণ্টন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে আরও সময় প্রয়োজন বলে মনে করছে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি। ইলেকট্রনিক্স সাবক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) আধুনিকায়ন করা ও ত্রুটিমুক্ত রাখতে সময় বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে কমিটি।
রোববার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কার্যালয়ে কমিটির এক সভায় বিষয়টি উঠে আসে।
সভায় বিএসইসির পরিচালক ও আইপিও’র শেয়ার আনুপাতিক হারে সমবণ্টন সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি মো. মনসুর রহমানের সভাপতিত্বে ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আইপিও’র শেয়ার আনুপাতিক হারে বণ্টন ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। কিন্তু ইএসএস সিস্টেম আধুনিকায়ন করা সময় সাপেক্ষ বলে মনে করছে কমিটির সদস্যরা। দ্রুত ইএসএস অধুনিকায়ন করা হলে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত এটা বাস্তবায়ন করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ইএসএস সিস্টেম পূর্ণাঙ্গভাবে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে আগামী জুন পর্যন্ত সময় প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিটির সদস্যরা।
এছাড়াও সভায় আইপিও’র শেয়ার আনুপাতিক হারে বণ্টনের ক্ষেত্রে আবেদনের সর্বোচ্চ সীমা নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় একটি বিও হিসাবের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করে সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। গঠিত কমিটির আগামী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আবেদনের সর্বোচ্চ সীমার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে। এটা নিয়ে কোনো সংশয় থাকলে, প্রয়োজনে তা উঠিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ভাবা হবে। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে এ সংক্রান্ত কমিটি কাজ করছে। কমিটির দাখিল করা সুপারিশের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
গত ৩১ ডিসেম্বর বিএসইসির ৭৫৫তম সভায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আইপিওতে আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও আইপিও আবেদনে ন্যূনতম চাঁদার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা বা এর গুণিতক নির্ধারণ করা হয়। লটারির পরিবর্তে আবেদনের টাকার আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পাশাপাশি কমিশন বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিং ও প্রসপেক্টাস প্রকাশের জন্য বিদ্যমান দুই দফায় সম্মতিপত্র দেওয়ার পরিবর্তে একসঙ্গে সম্মতিপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।