আজ (শনিবার) রাতে মৌসুমের প্রথম ‘এল ক্লাসিকো’ ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্পেনের দুই জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। সাধারণত এল ক্লাসিকো ম্যাচের আগে যে উন্মাদনা পরিলক্ষিত হয়, এবার যেনো তার ছিটেফোঁটাও নেই। এর বড় একটা কারণ, করোনাভাইরাসের কারণে মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি না থাকা।
এছাড়া রিয়াল-বার্সা দুই দলই সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা ভালো ফর্মে নেই। বিশেষ করে রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের ঘরের মাঠেই হেরেছে শেষ দুই ম্যাচ। প্রথমে লা লিগায় নবাগত কাদিজ এবং পরে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে শাখতার দোনেৎস্কের সঙ্গেও হেরেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
লিগে একই অবস্থা বার্সেলোনারও। গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে গেটাফের মাঠে খেলতে গিয়ে বিব্রতকর পরাজয় নিয়েই ঘরে ফিরেছে কাতালান ক্লাবটি। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে ফেরেন্সভারোসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি, আনসু ফাতি, ফিলিপ কৌতিনহোরা।
শেষ ম্যাচের এ জয়টি নিশ্চিতভাবেই এল ক্লাসিকোতে বাড়তি সাহস জোগাবে বার্সা শিবিরে। কেননা রিয়ালের বিপক্ষেও যে তারা খেলবে নিজেদের ঘরের মাঠে। আর এ ম্যাচে দারুণ এক মাইলফলক অপেক্ষা করছে বার্সেলোনার সামনে। আর মাত্র ১ গোল দিলেই এল ক্লাসিকোতে ৪০০ গোল পূরণ হবে তাদের।
এখনও পর্যন্ত রিয়ালের বিপক্ষে ২৪৪টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ৩৯৯ গোল করেছে বার্সেলোনা। আজকের ম্যাচে একটি গোল করলেই হয়ে যাবে ৪০০। অবশ্য বার্সার আগেই ৪০০ গোলের চূড়া ছুঁয়েছে রিয়াল। তবে খুব বেশি এগিয়ে নয় তারা। বার্সেলোনার জালে এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ৪০৫ গোল করেছে গত শতাব্দীর সেরা ক্লাবটি।
গোলসংখ্যা যেমন কাছাকাছি, তেমনি দুই দলের মুখোমুখি লড়াইটাও এখন রয়েছে জমজমাট অবস্থায়। রিয়াল-বার্সার মধ্যকার ২৪৪ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে কেউ কারও চেয়ে এগিয়ে নয়। ড্র হয়েছে ৫২টি ম্যাচ এবং দুই দলই জিতেছে সমান ৯৬টি করে ম্যাচ। ফলে নতুন মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে দুই দলের সামনেই।
এক্ষেত্রে আবার খানিক এগিয়েই থাকবে বার্সেলোনা। কেননা পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে, তাদের ঘরের মাঠ অর্থাৎ ন্যু ক্যাম্পে রিয়ালের বিপক্ষে খেলা মোট ১১৭ ম্যাচের মধ্যে বার্সাই জিতেছে ৬৩টিতে। ড্র হয়েছে ২৭টি আর রিয়ালের ঝুলিতে গেছে বাকি ২৭ ম্যাচের ফল। এবার ১১৮তম ম্যাচে কোন সংখ্যাটা বাড়বে সেটিই দেখার।