অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা ওইসিডি পূর্বাভাস করেছে যে আগামী বছরের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক অর্থনীতি মহামারীর পূর্বের অবস্থায় আবারো ফিরে যাবে।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি)সিম্প্রতি প্রকাশিত তাদের সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে জানিয়েছে যে ২০২১ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৪ দশমিক ২ শতাংশ সম্প্রসারিত হবে যা হল চলতি বছরের অনুমান অনুযায়ী ৪ দশমিক ২ শতাংশ সংকোচনের পুনরুদ্ধার। ইতিবাচক সম্ভাবনার প্রধান কারণ হল পূর্বাভাস অনুযায়ী চীনের ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকার প্রত্যাশা। তবে শুধুমাত্র চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্যান্য কয়েকটি দেশে অর্থনীতি আগামী বছর মহামারীর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
করোনা মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে নজিরবিহীন গতিতে সঙ্কুচিত হয়ে পড়া বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের অর্থনীতির ২০২১ সালে অপ্রচলিত হারে প্রসারণ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, দেশগুলোর তুলনায় ২০২১ সালে চীনের অর্থনীতি ২০১৯ সালের মতোই সম্প্রসারিত হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটাই জানিয়েছে দ্য ইকোনোমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। তারা পূর্বাভাস দিয়েছে যে, আগামী বছর নাগাদ চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে, মনে হবে করোনাভাইরাস মহামারি কখনও ঘটেইনি এবং ২০২১ সালে চীনের জিডিপি প্রায় ১৫.৮ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
করোনার বছর ২০২০ কাটিয়ে আসছে ২০২১। হাজারো মানুষের স্বজন হারানো, চাকরি হারানো, পুঁজি হারানো, অর্থনীতিকে স্থবির করা বছর ২০২০ সালকে পেছনে ফেলে সামনের বছরটি বাংলাদেশের জন্য হবে সম্ভাবনায় ভরপুর। অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা জানালেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের শক্তিশালী রিজার্ভ গড়ার লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছি ২০২১ সালেই পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।
নতুন বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির হাতছানি রয়েছে। ২০২০ সালের প্রতিকূল পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা ২০২১ সালে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ হবে সারা বিশ্বের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। কারণ, মহামারির ধাক্কা সামলে নিয়ে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এখনও গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা রয়েছে। প্রবাসী আয় দ্রুত গতিতে বাড়ছে। রফতানি আয় বাড়ছে। মেগা প্রকল্পে গতি এসেছে। সংকটে থাকা শেয়ারবাজার এখন প্রাণ খুঁজে পেয়েছে। ব্যাপক বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত রয়েছে টাকা ব্যাংকের কাছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংস্থাগুলোও বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যেভাবে সরকার ২০২০ সালে অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব মোকাবিলা করেছে, তাতে ২০২১ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধির বছর। বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ মনে করেন, ২০২০ সালের করোনার আঘাতের পরও দেশের অর্থনীতির যেসব সূচক ভালো অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলো ২০২১ সালে আরও শক্তিশালী হবে। আর যেগুলো দুর্বল অবস্থায় আছে, সেসব সূচকও ঘুরে দাঁড়াবে। আগামী জুলাই-আগস্টের পর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় উল্লম্ফন শুরু হতে পারে ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছিন,আপাতত মনে হচ্ছে করোনা একেবারে চলে যাবে না, টিকা আসতেও দেরি হতে পারে। দ্বিতীয় ধাপের করোনায় যদি লকডাউনে যেতে না হয়, তাহলে অর্থনীতির সব সূচকই গতিশীল হবে। প্রবাসী আয়সহ অর্থনীতির বেশ কয়েকটি সূচক এরই মধ্যে শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন দেশে বিনিয়োগ শুন্য। তবে নতুন বছরে দেখা যাবে, সবাই বিনিয়োগে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। করোনার কারণে যেসব কাজ ঝিমিয়ে পড়েছিল, সেগুলোও সচল হবে। অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াবে।
দেখা যাবে, হঠাৎ করে ওই সময় বিনিয়োগ শুরু হয়ে গেছে। তখন বিশ্ব অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে। কারণ, অনেক দেশই টিকা পেয়ে যাবে। বাংলাদেশের সব মানুষ টিকা পেতে আরও কয়েক বছর লাগলেও উন্নত দেশগুলো আগেই টিকা পেয়ে যাবে। ফলে তাদের কেনাকাটা, ভ্রমণ, ভোগ ব্যয় বাড়বে। তখন আমাদের রফতানি ও শ্রম বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে।কৃষিতে সহায়তা এবং রেমিট্যান্স ও রফতানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের যে ভূমিকা ছিল, তা অব্যাহত থাকলে সমস্য কেটে যাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মহামারি করোনার কারণে যে ধাক্কা লেগেছে রফতানি খাতে, আগামী মার্চ-এপ্রিল থেকে সেই ধাক্কা কেটে যাবে। শুধু তাই নয়, তৈরি পোশাক রফতানিতে বড় উল্লম্ফন ঘটতে পারে। আগামী ফেব্রুয়ারির পর থেকে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ বাড়তে পারে। যারা টিকা পেয়ে যাবেন তাদের কেনাকাটা, ভ্রমণ ও ভোগ ব্যয় বাড়বে। এতে করে আমাদের রফতানি খাত দ্রুত এগিয়ে যাবে। এরই মধ্যে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে রফতানি বাণিজ্য।
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ায় গত এপ্রিলে বাংলাদেশের রফতানি আয় তলানিতে ঠেকেছিল। ওই মাসে সব মিলিয়ে মাত্র ৫২ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল। পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছিল মাত্র ৩৬ কোটি ডলার। এর পর মে মাসে রফতানি আয় বাড়তে শুরু করে। জুনে তার চেয়ে অনেক বাড়ে। এরপর চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেও সেই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত ছিল। প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি ওই তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় দেশে আসে।
মহামারি করোনার কারণে লকডাউন আর বিদেশি শ্রমিক-প্রকৌশলীদের অনেকে দেশে ফিরে যাওয়ায় এ বছর সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেলের মতো বড় প্রকল্পের কাজ এগোতে পারেনি কাঙ্ক্ষিত দ্রুততায়। তবে বছরের শেষ দিকে এসে গতি পেয়েছে অধিকাংশ প্রকল্প। স্বপ্নের পদ্মা সেতু এই ডিসেম্বরেই পেয়েছে পূর্ণ অবয়ব। একইভাবে দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩১ শতাংশের বেশি ভৌতকাজ এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে। এদিকে মহামারির মাঝেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে দিনরাত কাজ চালিয়ে মেয়াদের তিন বছর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালু করার নতুন লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে এখন। এছাড়া অন্যসব মেগা প্রকল্পের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে ।
মহামারি করোনাকালে যেখানে বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির দেশে কোনও প্রবৃদ্ধিই হচ্ছে না, সেখানে বাংলাদেশ মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৮ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি আশা করছে। এর আগে টানা তিন মাস লকডাউনের কারণে সব কিছু বন্ধ থাকার পরও গত অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, দুর্দান্ত গতিতে বাংলাদেশের এগিয়ে চলা শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে ২০১৫ সালেই।
জাতিসংঘের হিসাবে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের সিঁড়িতে পা দেবে ২০২৪ সালে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, ২০২০ সালে পঞ্জিকাবর্ষে মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আইএমএফ বলছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১ হাজার ৮৮৮ ডলার, একই সময়ে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১ হাজার ৮৭৭ ডলার। আইএমএফের বরাত দিয়ে মাথাপিছু জিডিপির বিষয়ে অনেকেই বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসাও করছে।
এদিকে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) এর সর্বশেষ রিপোর্টের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বিকাশ অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশটি হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবল ২০২১’ নামের ওই রিপোর্টটি গত শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হয়। এতে মূলত সামনের বছর ও আগামী ১৫ বছরে বিশ্বের কোন দেশের অর্থনীতি কী হারে বাড়বে, তার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সিইবিআর প্রতিবছর এই রিপোর্ট প্রকাশ করে।
জানা গেছে, স্বপ্নের পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে ২০২২ সালে। ইতোমধ্যেই সেতুর ৪২টি পিয়ারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ করার মধ্য দিয়ে সেতুর মোট ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ সেতুর অবকাঠামোগত কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সেতু বিভাগ। এ সেতুর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের ২১টি জেলার সংযোগ ঘটবে। দুই স্তর বিশিষ্ট ইস্পাত ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে রয়েছে চার লেনের সড়কপথ এবং নিচের স্তরে একটি রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর আববাহিকায় প্রতিটি ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতু।
উড়ালের পথে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। এটি চলবেও উড়ালপথে। সব ঠিক থাকলে ২০২২ সালে চলতে শুরু করবে মেট্রোরেল। জানা গেছে, ২০২১ সালের শুরুতেই শুরু হবে এর পরীক্ষামূলক চালনা। রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট। ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করতে পারবে মেট্রোরেল। বর্তমানে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের কাজ চলছে পুরোদমে। দিয়াবাড়ী ডিপো থেকে তিনটি স্টেশন প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন চলছে স্টেশন তিনটির বৈদ্যুতিক সংযোগ ও অন্যান্য কারিগরি কাজ।
ইতোমধ্যেই জাহাজ ভিড়েছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর মাতারবাড়িতে। বন্দরে নোঙর করা মাদার ভেসেলটির নাম ভেনাস ট্রায়াম্প। পানামার পতাকাবাহী জাহাজটির ড্রাফট সাড়ে পাঁচ মিটার। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা জাহাজটি প্রথমবারের মতো গভীর সমুদ্রবন্দর এলাকায় মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মিত জেটিতে প্রবেশ করেছে। যদিও ২০২৫ সালের শেষ দিকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চালুর সময়সীমা নির্ধারিত আছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে দুই দেশের মধ্যে বিগ-বি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাতারবাড়িতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। এরই ফলশ্রুতিতে জাইকার অর্থায়নে নিপ্পন কোয়েই ও আমাদের স্থানীয় একটি ফার্মকে এই প্রকল্পের কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ১৬ নভেম্বর থেকে বন্দরের চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। ২০২৬ সালের মধ্যে এ বন্দর কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্য নির্ধারিত থাকলেও আগামী ২০২১ সালে পুরোদমেই জাহাজ ভিড়তে শুরু করবে এ বন্দরে। কারণ, এর আগেই ২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে একটি কয়লা টার্মিনালও নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০২১ সাল আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়ের ৫০ বছর তথা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে এ বছর। আমরা আশা করব, মানুষের অদম্য স্পৃহা ও উদ্ভাবনী শক্তির কাছে হার মানবে করোনাভাইরাস। পৃথিবীতে আবার ফিরে আসবে শান্তি। জনগণ, সরকার, রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা নতুন বছরটিকে শান্তি-সমৃদ্ধময় ও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলবেন। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।