রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবে জমাকৃত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ কমল। এর ফলে রপ্তানি আয়ের বড় অংশই এখন থেকে নগদায়ন করে ফেলতে হবে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা নিজেদের হিসাবে ডলার কম রাখতে পারবেন। অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখা এ রকম সব ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে এই নির্দেশনা দিয়েছে।প্রচলিত ব্যবস্থায় প্রত্যাবসিত রপ্তানি আয়ের নির্দিষ্ট অংশ ইআরকিউ হিসাবে জমা রাখা যায়।
স্থানীয় মূল্য সংযোজনের মাত্রা অনুযায়ী, রিটেনশন কোটার হার ১৫ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। শুধু তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এই হার ৭০ শতাংশ। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী খাত ভেদে রপ্তানিকারকেরা ৭ দশমিক ৫০, ৩০ ও ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ডলার নিজের ইআরকিউ হিসাবে রাখতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেন, একসময় রপ্তানি আয় বাড়াতে ইআরকিউ হিসাবে ডলার রাখার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল। তবে এখন সংকটের সময়। তাই বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য ইআরকিউ হিসাবে ডলার রাখার সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশনার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে তারল্য বাড়বে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।