ডলারের বাজারে অস্থিরতা কমাতে বৈধভাবে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর প্রণোদনা বৃদ্ধি করে পাঁচ শতাংশ করাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)।
গত ১৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বাফেদার পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব জানানো হয়েছে। বাফেদার এসব প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাফেদার মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
খোলাবাজারে ডলারের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমে এসেছে। রাজধানীতে গতকাল বুধবার প্রতি ডলার ৯৮-৯৯ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক ৮৮ টাকা ৯০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করছে।
ডলারের বাজারে অস্থিরতা কাটাতে বাফেদার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- বৈধভাবে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রণোদনা পাঁচ শতাংশ করা, বাজারের চাহিদা বিবেচনা করে ডলার সরবরাহ করা, বাজারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ে আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার পুনর্নির্ধারণ করা। সব অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংক বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে ‘একক বিনিময় হারে’ লেনদেন করবে এবং সেই হার আন্তঃব্যাংকের মধ্যে লেনদেনের থেকে কমপক্ষে শূণ্য দশমিক এক শতাংশ কম হবে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাফেদার বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন সদস্য জানান, ডলারের দাম বাড়ার সম্ভাব্য কারণ বের করা হয়েছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া ও হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো। বাংলাদেশ ব্যাংক চাহিদা অনুযায়ী ডলার না ছাড়ায় ব্যাংকগুলোর সংকট আরও বাড়ছে।
পরামর্শ হিসেবে তারা বলেন, সংকট উত্তোরণে রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ এবং রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রয়োজনে ভর্তুকি দ্বিগুণ করা।