ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) দেশের অর্থনীতির স্বার্থ বিবেচনা করে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত পর্যন্ত গ্রাহকদের ঋণ খেলাপি না করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সাক্ষরিত একটি চিঠি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় অর্থনীতির বাস্তব সমস্যাগুলো অনুধাবন করে সেগুলো থেকে উত্তরণের জন্য কার্যকরী ও সময়োপযোগী আর্থিক ও নীতি সহায়তা দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। পরিস্থিতি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে পলিসি সহায়তা দেয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোভিডের ধকল সন্তোষজনকভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সচল রাখতে পলিসি সহায়তা দেয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদেয় কিস্তির ন্যূনতম ১৫ শতাংশ আদায় সাপেক্ষে ঋণ শ্রেনিকরণ সুবিধা গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ সুবিধা অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, কোভিড পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এখনও কোভিড পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে। যা বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে। বিরাজমান কোভিড ও রাশিয়া ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম ও জাহাজ ভাড়া প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কাঁচামাল, শিপিং ও অন্যান্য খরচ বাড়ার কারণে দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের ওপর ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হওয়ায় ঋণের কিস্তি সময়মত পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পুনরায় ঋণ শ্রেণিকরণ সুবিধা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ প্রক্রিয়া অন্তত আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।