দেশের অনেক ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) আয় নেই। কিন্তু কাগজে কলমে মুনাফা দেখিয়ে আমানতের টাকা তুলে নিচ্ছে। এতে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতে ভুল তথ্য দিয়ে যেন প্রতিবেদন তৈরি করা না হয়, এজন্য ৪৩ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের মূল সফটওয়্যার থেকে তথ্য দিয়ে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আইটি বিশেষজ্ঞ নিয়ে তথ্য দেওয়ার কথাও বলেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্য কোর ব্যাংকিং সিস্টেম (সিবিএস) ও সিস্টেম জেনারেটেড ট্রায়াল ব্যালেন্সের সঙ্গে মিল আছে কি না তা যাচাই-বাছাই করতে হবে। এরপর নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে।
চিঠি পাঠানো নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- কে. এম. হাসান অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এ. ওয়াহাব অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হুসাইন ফরহাদ অ্যান্ড কোং-চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, নুরুল ফারুক হাসান অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, জোহা জামান কবির রশীদ অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, রহমান রহমান হক অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, একনাবিন-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোং-চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, এম. জে. আবেদিন অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, হুদা ভাসী চৌধুরী অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, মালেক সিদ্দিকী ওয়ালী অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কাজী জহির খান অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এম, এম, রহমান অ্যান্ড কোং-চাটর্ডি অ্যাকাউন্ট্যান্টস, ইসলাম আফতাব কামরুল অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হাওলাদার ইউনুস অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, জি. কিবরিয়া অ্যান্ড কোং-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।