গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবদুর রহিম খাঁন। গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ১২৭তম সভায় উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) থেকে পদোন্নতি দিয়ে তাঁকে এমডি করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ১৯৮৭ সালে অবেক্ষাধীন কর্মকর্তা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকে যোগ দিয়েছিলেন আবদুর রহিম খাঁন। শুরু থেকে ২৪ বছর শাখা, এরিয়া ও জোনাল পর্যায়ে তিনি কাজ করেছেন। কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার আজ্ঞাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। গত মাসে বিদায়ী এমডি জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদারের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আবদুর রহিম খাঁন।
ড. ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক দেশে ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নে ১৯৭৬ সাল (প্রতিষ্ঠাকাল) থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ২০০৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদে সরকারের পক্ষ থেকে আছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন ও জনতা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. জসিমউদ্দিন।
প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদে ঋণগ্রহীতা পরিচালক আছেন গ্রামীণ ব্যাংকের ৯ জন। তাঁরা হলেন হোসনে আরা, মানসী সাহা, মনোয়ারা, সুফিয়া বেগম, হাসিনা বেগম, ফাতেমা বেগম সানোয়ারা, শিখা রানী দাস, নূর নাহার ও জাহানারা বেগম।
গ্রামীণ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংক ২ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। ঋণ আদায়ের হার ৯৯ শতাংশের বেশি। ব্যাংকটির সদস্য ৯০ লাখের বেশি—যার মধ্যে ৯৬ শতাংশই নারী।
গ্রামীণ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ড. ইউনূস চলে যাওয়ার পর ২০১২ সাল থেকে টানা চার বছর গ্রামীণ ব্যাংকের মুনাফা কমেছে। ২০১২ সালে মুনাফা কমে হয় ১৪৫ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে তা আরও কমে ২৪ কোটি টাকায় নেমে আসে। তবে ২০১৬ সালে মুনাফা বেড়ে হয় ১৩৯ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে মুনাফা হয় ২২৭ কোটি টাকা এবং ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালেও মুনাফা অর্জনে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকে।
আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ bankbimabd এ লাইক দিন