রেমিট্যান্সে এক শতাংশ প্রণোদনা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে প্রবাসী আয়ে দুই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, প্রবাসীদের হুন্ডির পথ থেকে নিরুৎসাহিত করতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স ফি মওকুফ করা প্রয়োজন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩০০র বেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের রেমিট্যান্স আসে। একেক দেশের এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো ভিন্ন ভিন্ন ফি চার্জ নিয়ে থাকে। কিন্তু একটি সমন্বয় করা কঠিন। তাই প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ মার্কিন ডলার কিংবা এর চেয়ে কম রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসীদের প্রচলিত দুই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও এক শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ‘স্বল্প রেমিট্যান্স পাঠানো অভিবাসী কর্মীদের হুন্ডির পথ থেকে নিরুত্সাহিত করতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ফি মওকুফ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে উচ্চ আয়ের প্রবাসীদের প্রদত্ত সুযোগের সঙ্গে তা সমন্বয় করতে হবে।’ এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক শীর্ষ রেমিট্যান্স আহরণকারী ১০টি ব্যাংক এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানাধীন ব্যাংকের সঙ্গে সভা করেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দুই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। বৈধ পদে রেমিট্যান্স বাড়াতে আরও এক শতাংশ প্রণোদনা বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।