পবিত্র ঈদ-উল আজহা ও করোনা মহামারির এ সময়ে প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্সের ওপর বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। তবে অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে রেমিট্যান্স পাঠালে মিলছে ৩ শতাংশ প্রণোদনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে বর্তমান সরকার গত ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। নতুন অর্থবছরেও এটি কার্যকর রেখেছে। এটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ।
তিনি জানান, ঈদে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে আরো বেশি উৎসাহী করতে সরকারের প্রণোদনার পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক রেমিট্যান্সের ওপর এক শতাংশ বেশি প্রণোদনা দিচ্ছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী অগ্রণী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে বা হিসাবে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকারের ঘোষিত ২ শতাংশের প্রণোদনার সঙ্গে ব্যাংক থেকে আরো এক শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হবে। ব্যাংক হিসাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগেও ঈদে প্রবাসীদের এ অফার দেওয়া হয়েছিল। এবারও দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রেমিট্যান্সের এ অফার চলবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি জুন মাসে ২৮ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। আর চলতি অর্থবছরে (২৮ জুন পর্যন্ত) রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৪৫৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। সবশেষ গত ২৯ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় চার হাজার ৬০৮ কোটি ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন লাখ ৯১ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে সাড়ে ১১ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।