ঢাকা শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
বাংলাদেশের সর্ব প্রথম ব্যাংকের নারী এমডি হুমায়রা আজম
  • ব্যাংকবীমাবিডি
  • ২০২১-০৩-২৯ ১২:৩০:৩৯

ট্রাস্ট ব্যাংকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়রা আজম  বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সর্বপ্রথম নারী প্রধান নির্বাহী কর্তকর্তা  বা ম্যনেজিং ডিরেক্টর ও সিইও  হিসাবে উক্ত ব্যাংকেই যোগদান করেছেন।

১৯৯১ সালে একটি বিদেশি ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কাজ শুরু করেন হুমায়রা আজম। দেশের কোনো বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালকও (এমডি) তিনি। বর্তমানে ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্বে রয়েছেন। বাংলাদেশে করপোরেট জগতে শীর্ষ পদে যে গুটিকয় নারী সফল হয়েছেন, হুমায়রা আজম তাঁদের অন্যতম। যেখানে কাজ করেছেন, সেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা ঘুরিয়ে ফেলতেও অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।

পুরান ঢাকায় জন্ম হলেও একদম ছোটবেলাটা তাঁর কাটে পশ্চিম পাকিস্তানের ইসলামাবাদে। বাবা সেখানে শিক্ষকতা করতেন। সেখান থেকে এসে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন বাবা সৈয়দ আলী আজম। হুমায়রা আজমের ম্যাট্রিক পরীক্ষার পরপরই তার বাবা মারা যান। জীবনের কঠিন সময়টা শুরু হয় তখন থেকেই। মা তাদের পাঁচ ভাইবোনকে কঠোর নিয়মে মানুষ করেন। তাকে ছোট থেকে টিউশনি করতে হয়েছে, কষ্ট করতে হয়েছে প্রচুর। তিনি পুরো পড়াশোনা করেছেন সরকারি বৃত্তি পেয়ে।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল শেষে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ পড়াশোনা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন ১৯৮২ সালে। আন্দোলনের কারণে ১৯৮৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হন। ১৯৯০ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসিতে যোগদান করেন ২০০৯-এর এপ্রিলে। সেখানকার প্রথম নারী এমডি ছিলেন তিনি। সে সময়ে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে নারী এমডি ছিলেন না। আসলে নিজেকে কখনো পুরুষ বা নারী হিসেবে ভাব্নেনি তিনি। নিজের সক্ষমতার ওপরই বেশি জোর দিয়েছেন। যখন আইপিডিসিতে চাকরী করেন, সে সময় তাদের আর্থিক অবস্থা ভয়াবহরকম খারাপ অবস্থায় ছিল। তিনি পুরো ১০০ শতাংশ মূলধন পুনরুদ্ধার করেন। প্রতিষ্ঠানটি ভালো জায়গায় নিয়ে যান। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংক এশিয়ায় প্রধান ঝুঁকি পরিপালন কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন। জীবনে সব জায়গাতেই তিনি সফলভাবেই কাজ করেছেন। অনেক কোম্পানিকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছেন। ২০১৮ সালে মার্চে ট্রাস্ট ব্যাংকে প্রধান ঝুঁকি পরিপালন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন পালন করছেন।

ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের নানা সফলতার গল্প

এএনজেড ব্যাংকে সাড়ে ছয় বছর ছিলেন। তারা পাঁচজন একসঙ্গে যোগদান করেছিলেন। শাখা ব্যাংকিং দিয়ে শুরু হয়। কয়েক মাসের মধ্যে চলে যান করপোরেট ব্যাংকিংয়ে। ১৯৯৬-এ এইচএসবিসি বাংলাদেশে করপোরেট ব্যাংকিং দিয়ে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশে এইচএসবিসি ব্যাংকের অফশোর লাইসেন্স, এডি লাইসেন্স, ওদের সফট লঞ্চিং—সবকিছু প্রতিষ্ঠা হয়েছে তার হাত দিয়ে। এইচএসবিসির থেকে ২০০২ সালে গেলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে। গ্রুপ স্পেশালিস্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের হেড ছিলেন। সাত বছর এই বিদেশি ব্যাংকে ছিলেন্।তিনি ছিলেন এখানকার ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রথম নারী সদস্য। পরে ওখানে ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের প্রধান হন।

সাউথইস্ট ব্যাংকে গ্রাহকের মতবিনিময় সভা
ব্যাংকগুলো শাখা খোলার পরিবর্তে ডিজিটাল মাধ্যমকে গুরুত্ব দিচ্ছে
আইএফআইসি ব্যাংক থেকে গ্রাহকের ২০ লাখ টাকা ছিনতাই, ২ পুলিশ গ্রেপ্তার