মুদারাবা সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ছাড়বে বলে জানিয়েছে এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। বন্ড ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলন করার কথা জানিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বন্ডটির উত্তোলিত অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি টায়ার-টু এর মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডটির মেয়াদ হবে ৭ বছর। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বন্ডটির চূড়ান্ত অনুমোদন দিবে।
যা শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, করপোরেট হাউজ, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এই ইউনিট কিনতে পারবে।
এর আগের ২০১৭ সালে পুঁজিবাজার থেকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল এক্সিম ব্যাংক। বন্ডটির বৈশিষ্ট্য ছিল, শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য নয় এবং মুদারাবা সাবওর্ডিনেটেড বন্ড। বন্ডটি মেয়াদও ছিল ৭ বছর।
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে এক্সিম ব্যাংকের। মহামারির মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা যেন ফুলেফেঁপে উঠেছে। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির মুনাফা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৯৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩১ পয়সা। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৬৫ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকের পাশাপাশি ছয় মাসের হিসাবেও কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৬ পয়সা।
মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৭ পয়সা, যা ২০১৯ সালের জুন শেষে ছিল ২০ টাকা ৫৪ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারিটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১৪ টাকা ৫২ পয়সা। ২০১৯ সালের সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ার প্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ৪ টাকা ৩৬ পয়সা।
এর আগে দুটি নতুন ব্যাংকিং সেবা উদ্বোধন করে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড। ‘এক্সিম শেফা’ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সেবা ‘এক্সিম ওয়ালেট’ এর উদ্বোধন করা হয়।
‘এক্সিম শেফা’য় আমানতকারী গ্রাহক প্রয়োজনের মুহূর্তে ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ সুবিধা এবং এক্সিম ব্যাংক হাসপাতালে মূল্যছাড় পাবেন, অন্যদিকে ব্যাংকের নিজস্ব কর্মকর্তাদের দ্বারা উদ্ভাবিত দেশের প্রথম মোবাইল অ্যাপ ‘এক্সিম ওয়ালেট’ দিয়ে ব্যবহারকারী যেকোনো মুহূর্তে ফান্ড ট্রান্সফার সুবিধাসহ স্টেটমেন্ট গ্রহণ, ব্যাংকের শাখা ও এটিএম এর অবস্থান জানতে পারেন।
এরও আগে কৃষিপ্রধান উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় উদ্বোধন করা হয় আন্তর্জাতিকমানের কৃষি গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় “এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ”। ৯ অক্টোবর ২০১৩ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকমানের গবেষণাভিত্তিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ট্রাস্ট ও এক্সিম ব্যাংকের এর চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম মজুমদার।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে এগ্রিকালচার অনুষদ ও এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স অনুষদের অধীনে ১৬ টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। এছাড়াও গ্রাজুয়েট স্টাডিজ, ফিশারিজ এবং ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিভাগ চালু করা হয়েছে।
এদিকে বাই-মুদারাবা নীতিতে সম্মূর্ণ ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক ভিসা সিগনেচার কার্ড (স্থানীয়, আন্তার্জাতিক এবং দ্বৈত মুদ্রা ভিত্তিক) চালু রয়েছে। বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এক্সিম ব্যাংক সর্ব প্রথম এ ধরণের একটি ইসলামিক ইলেকট্রনিক পন্য বাজারে নিয়ে এসেছে।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১