ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্প (সিএমএসএমই) খাতে ঋণ পেতে ২৬২টি আবেদন এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। গ্রাহকদের পক্ষে ব্যাংকগুলো এসব আবেদন করেছে। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে শিগগিরই সিদ্ধান্ত দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় ঋণ বিতরণের জন্য এ পর্যন্ত ১৯টি ব্যাংক ও ৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অংশগ্রহণ চুক্তি করেছে।
সিএমএসএমই খাতে জামানতবিহীন ঋণের ঝুঁকি নিতে গত ২৭ জুলাই ২ হাজার কোটি টাকার তহবিল নিয়ে একটি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে ৮ হাজার ৩২০ কোটি টাকার ঋণের বিপরীতে গ্যারান্টি দেওয়া হবে। স্কিমের আওতায় বিতরণ করা কোনো ঋণ খেলাপি হলে তার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাবে সংশ্নিষ্ট ব্যাংক। এর আওতায় একজন উদ্যোক্তাকে ২ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া যাবে। সর্বশেষ বছরে লোকসান থাকলে তাকে ঋণ দেওয়া যাবে না। একটি ব্যাংক সিএমএসএমই খাতে যে পরিমাণ ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করবে তার ৩০ শতাংশ এ স্কিমের আওতায় জামানতবিহীন দেওয়া যাবে। ঋণের ৭০ শতাংশ শিল্প ও ও সেবা এবং ৩০ শতাংশ ব্যবসা উপখাতে বিতরণ করতে হবে।
ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে প্রথম বছরে গ্রাহককে নির্ধারিত সুদহারের অতিরিক্ত ১ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। যথাসময়ে অর্থ আদায় না হলে দ্বিতীয় বছর থেকে যতদিন ঋণ অনাদায়ী থাকবে ততদিন ব্যাংকগুলোকে এ তহবিলে টাকা দিতে হবে। যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৫ শতাংশের নিচে তাদের অনাদায়ী ঋণের দশমিক ৫ শতাংশ হারে দিতে হবে। আর ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপি থাকা ব্যাংকগুলোকে দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে অর্থ জমা দিতে হবে। তবে বেসরকারি ও বিদেশি মালিকানার যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি তারা এই স্কিমের আওতায় নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি পাবে না।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১