চাল আমদানি বন্ধঃ এইচএস কোড জটিলতা

ব্যাংকবীমাবিডি || ২০২১-০১-১৭ ২১:১৩:০৭

image

দেড় বছর পর সম্প্রতি দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে চাল আমদানি শুরু হয়। দেশের বাজারে চালের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে এ চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তবে শুরুর চারদিনের মাথায় আবারো বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। আমদানীকৃত চালের এইচএস কোড নিয়ে জটিলতার কারণ দেখিয়ে চারদিন ধরে ভারত চাল রফতানি বন্ধ রেখেছে। এতে করে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের অভ্যন্তরে কয়েক হাজার টন চাল আটকা পড়েছে।

ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতির পর ৯ জানুয়ারি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। ওইদিন বন্দর দিয়ে তিনটি ট্রাকে ১১২ টন চাল আমদানি হয়। এর পরের দিন ১০ জানুয়ারি ২০টি ট্রাকে ৮২৮ টন চাল আমদানি করা হয়। একইভাবে ১১ জানুয়ারি আটটি ট্রাকে ৩২৯ টন ও ১২ জানুয়ারি ২৩টি ট্রাকে ৮৮৪ টন চাল আমদানি হয়। কিন্তু এরপর এইচএস কোড নিয়ে জটিলতা দেখিয়ে গত বুধবার থেকে কোনো চাল আমদানি হয়নি। গতকাল বিকাল ৩টা পর্যন্তও বন্দর দিয়ে কোনো চাল আমদানি হয়নি।

হিলি স্থলবন্দরের চালের কার্য সম্পাদনকারী আমদানিকারক মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাশেদুল ইসলাম বলেন, চাল আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর চারদিন বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়েছে। এর পর থেকে চালের এইচএস কোড নিয়ে জটিলতা দেখিয়ে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ রেখেছে ভারত। ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এখন বলছে, এইচএস কোড ও পণ্যের নাম ঠিক করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে চাল আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে চালের এইচএস কোড রয়েছে নন-বাসমতী হাস্কিং ব্রাউন রাইস। সেটি তারা গ্রহণ করছে না। তারা চাইছে শুধু নন-বাসমতী রাইস। এখন মন্ত্রণালয় থেকে চাল আমদানির অনুমতিপত্রে চালের যে এইচএস কোড দেয়া রয়েছে এর বাইরে তো আমাদের যাওয়ার ক্ষমতা নেই। এ অজুহাত দেখিয়ে চারদিন ধরে ভারত চাল রফতানি বন্ধ রেখেছে। আজও (গতকাল) বন্দর দিয়ে কোনো চাল রফতানি করেনি। এতে করে আমাদের অনেক আমদানিকারকের কয়েক হাজার টন চাল দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের অভ্যন্তরে আটকা পড়ে আছে।

চাল আমদানিকারক মামুনুর রশীদ বলেন, হিলি স্থলবন্দরের বিভিন্ন আমদানিকারক প্রায় ৬০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পায়। ৯ জানুয়ারি থেকে আমদানি শুরুর পর থেকে দেশের বাজারে চালের মূল্য কমতে শুরু করেছিল। এবারে ভারত চাল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে এইচএস কোডের জটিলতা দেখিয়ে। এতে করে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ভারতের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকজন আমদানিকারকের কয়েক হাজার টন চাল দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ট্রাক বোঝাই অবস্থায় রয়েছে। এতে করে আমাদের আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, সরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য যে এইচএস কোড দেয়া হয়েছে, তাতে চারদিন চাল রফতানি করলেও বর্তমানে ভারত বলছে এইচএস কোড ভুল হয়েছে। তারা এখন এলসি সংশোধন করে এইচএস কোড পরিবর্তন করে দিতে বলছে। এখন নতুন করে ব্যাংক থেকে আগের করা এলসিগুলো সংশোধন করে এইচএস কোড পরিবর্তন করে দেয়া হলে তারপর বন্দর দিয়ে আবারো চাল আমদানি শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা (ভারতীয় ব্যবসায়ীরা)।

অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com

ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১