সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ছুটি আসেন। তার মরদেহের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রদ্ধা জানান।

IFrame
এ সময়ে বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান ও শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ব্যারিস্টার রফিক-উল হক চলে যাওয়ায় আইন জগতে একটা বিরাট রকমের ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে, এই ক্ষতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।’

‘আমরা বিএনপি, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার বিদাহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি, তিনি যে তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।’

তিনি বলেন, ‘এ ধরনেরে আইনজীবীর এখন খুবই অভাব। তার অভাব আমরা অনুভব করছি। তিনি সব সময় নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদেরকে আইনি সহায়তা দিয়ে গেছেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সারা জীবন যে আয় করেছেন, তার একটা বিরাট অংশ মানুষের সেবার জন্য ব্যয় করেছেন। এই হাসপাতালের চেয়ারম্যান ছিলেন, ক্যানসার হাসপাতালে তার বিরাট অবদান আছে। ডায়াবেটিক হাসপাতালের পুরো আইসিইউ তিনি করে দিয়েছেন।’

১/১১-এর সময়ে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনি লড়াইয়ের শীর্ষ আইনজীবী ছিলেন।

সকাল সাড়ে ৮টায় আদ-দ্বীন হাসপাতালের আইসিইউতে লাইভ সাপোর্ট থাকা অবস্থায় মারা যান এ আইনজীবী।

সকাল সাড়ে ১০টায় আদ-দ্বীন হাসপাতাল জামে মসজিদে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আদ-দ্বীন হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের পরিচালক, সদস্য, চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের মানুষজন অংশ নেন।

পরে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পল্টনে নিজের বাসায়। সেখানে বেলা ১টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে।