বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা পিকে হালদারের প্রায় এক হাজার ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। এছাড়া পিকে হালদার ৬২ সহযোগীর মাধ্যমে অর্থপাচারের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুদক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এ তথ্য জানান।
দুদক সচিব বলেন, পিকে হালদারের ইস্যুটা অনেক বড়। বিভিন্ন জনের মাধ্যমে তার বিভিন্ন দিকে সূত্র আছে। ইতোমধ্যে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মোটামুটি ৬২ জনের সঙ্গে তার লিংকের সূত্র পাওয়া গেছে। এসব তথ্য আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
পিকে হালদার কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি করে রাজকীয় জীবনযাপন করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশান্ত কুমার হালদার, ব্যাংকপাড়ায় পিকে হালদার নামে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা রয়েছেন। মাঝে একবার টাকা ফেরতের শর্তে দেশে ফিরতে চাইলেও দেশে ফিরলে গ্রেপ্তার হতে হবে হাইকোর্টের এমন আদেশের পর অসুস্থতার কথা বলে আর ফেরেননি তিনি।
তার বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে দুদক সচিব বলেন, পিকে হালদারের সংশ্লিষ্টতায় একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ হয়ে গেলে আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো।
গত ৩ ডিসেম্বর পিকে হালদারের কানাডার হোল্ডিংয়ের ঠিকানা বাংলাদেশ সরকারকে জানায় কানাডা সরকার। এরপর সেদিন জানানো হয়, যেকোনো দিন পিকে হালদারের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করতে পারে ইন্টারপোল। সেটা দু-একদিনের মধ্যেই হতে পারে। চাইলে আজও রেড অ্যালার্ট জারি করতে পারে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১