ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থাকায় খাতভিত্তিক লেনদেন থেকে বেরিয়ে এসেছেন বিনিয়োগকারীরা। সম্প্রতি কোনো খাতেরই একচেটিয়া আধিপত্য দেখা যাচ্ছে না। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কোম্পানির শেয়ার চাহিদা কিছু বেশি থাকলেও তা এককভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। মূলত দর কম থাকায় এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ কিছুটা বাড়ছে। তবে গতকাল বাজারচিত্র কিছুটা ভিন্ন ছিল। এদিন মোট লেনদেনে চারটি খাতের একক আধিপত্য বেশি দেখা যায়।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ওষুধ ও রসায়ন, আর্থিক, বিবিধ ও ব্যাংক খাতের মোট লেনদেনে অংশগ্রহণ ছিল ৬০ শতাংশ। এর মধ্যে সবার শীর্ষে ছিল আর্থিক খাতের কোম্পানি। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান চোখে পড়ে ১৯ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনে গতকাল এ খাতটির অবদান চোখে পড়ে প্রায় ১৭ শতাংশ। একইভাবে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের মোট লেনদেনে অবদান ছিল ১৩ শতাংশ। চতুথ অবস্থানে থাকা ব্যাংক খাতের অবদান ছিল প্রায় ১১ শতাংশ। এছাড়া প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং প্রকৌশল খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা যায়।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে সূচকের বড় উত্থান লক্ষ করা গেছে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে পাঁচ হাজার ৭১৮ পয়েন্টে। একইভাবে গতকাল ডিএসইতে সন্তোষজনকহারে লেনদেন চোখে পড়ে। দিন শেষে ডিএসইতে গতকাল মোট এক হাজার ৬৭৫ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়।
এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে ৩২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির মোট ৬১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ৪২ কোটি সাত লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ১৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকার রেনেটার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ১৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের। এছাড়া বিএসআরএম লিমিটেডের এক কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লের ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার ও কনফিডেন্স সিমেন্টের পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১