করোনা সংক্রমণে আমদানি-রফতানি বিপর্যয়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় চট্টগ্রাম বন্দর। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০ সালে অন্তত আড়াই লাখ কন্টেইনার কম হ্যান্ডলিং হয়েছে। সে সাথে কমেছে জাহাজ আসার সংখ্যাও।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ টিইইউএস। অথচ ২০১৯ সালে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩২ লাখের কাছাকাছি। এমনকি ২০১৮ সালেও ২০ সালের তুলনায় বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিলো।
পি আই এলের মহাব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ জহির বলেন, লজেস্টিক সাপোর্টটা এবং আমদানি-রপ্তানিকারকরা যেহেতু এখন আগের অবস্থায় চলে গেছেন সেই ক্ষেত্রে আমরা আশা করছি যে, ২০২১ সাল আমাদের ভালো হবে।
গত এক দশকের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আসার পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছিলো। প্রতি বছরই এ খাতে প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ৪ থেকে ৮ শতাংশ। ২০২০ সালে বন্দরে ৪ হাজারের বেশি পণ্যবাহী জাহাজ আসবে বলে ধারণা করা হলেও করোনা সংক্রমণের প্রভাবে জাহাজ এসেছে ৩ হাজার ৭২৮টি। অথচ ২০১৮ এবং ১৯ সালেও এর চেয়ে বেশি জাহাজ বন্দরে এসেছিলো।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম জুয়েল বলেন, যেহেতু এখন আমাদানির উৎস বাড়ছে আর জাহাজের পজিশন স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে, আমরা আশা করছি সবাই যদি একসঙ্গে উদ্যোগ নেই তাহলে আমরা অথনৈতিক সমস্যার যেটা মুখোমুখি হয়েছিলাম সেটা থেকে বের হতে পারবো।
বিশ্বের ব্যস্ততম একশটি বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের স্থান বর্তমানে ৫৮তম। করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে নানা ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে বন্দর আগের অবস্থানে ফিরছে বলে দাবি বন্দরের এ কর্মকর্তার।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ২০২০ সালে যে হিসাব হবে সেটি ২৯১৯ সালের ভিত্তিতে, সেই হিসাবে আমাদের গ্রোথ অনেক ভালো। আমরা আগামীবারও র্যাঙ্কিয়ে থাকবো। তবে বিশ্বব্যাপী করোনাকালীনে সব বন্দরের প্রবৃদ্ধি কম ছিল। সেই হিসাবে চট্টগ্রাম বন্দর র্যাঙ্কিয়ের নিচে যাওয়ার সম্ভবনা নেই।
কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এবং জাহাজ আসার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও বাল্ক পণ্য আসায় এগিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১