টিকা রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ব্যাংকবীমাবিডি || ২০২১-০১-০৪ ০৪:৫৩:৫৫

image

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা কয়েক মাসের জন্য রফতানির অনুমতি দেবে না ভারত সরকার। ভারতীয় উৎপাদক সিরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আগ্রহী দেশগুলোতে রফতানি শুরুর আগে আগামী দুই মাস তারা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করতেই জোর দেবে।

আগামী মাসের শুরুতে এ সিরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকেই বাংলাদেশের ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল। টিকার জন্য অগ্রিম হিসেবে ৬০০ কোটি টাকা সিরামের অ্যাকাউন্টে গতকাল রোববার জমাও দেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু পর দিনই টিকা রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার খবর এলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকা রফতানি বন্ধের খবরটি তিনি গণমাধ্যম মারফত পেয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাছ থেকেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে জানতে পারি। এর পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছেন, তারা এ ব্যাপারে কিছু জানে না। কী হয়েছে তারা জানার চেষ্টা করছে। আমরা এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।’

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ‘ভারত যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়ও তা হলেও তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের যে উষ্ণ সম্পর্ক, তাতে আমাদের টিকা পেতে কোনো সমস্যা হবে না।’

প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দেয় ভারতের সরকার। টিকা রফতানি নিয়ে এরই মধ্যে সিরাম ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ, সৌদি আরব ও মরক্কোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করে।

চুক্তি অনুযায়ী সিরাম ইন্সটিটিউট ছয় মাসের মধ্যে তিন কোটি টিকা দেয়ার কথা বাংলাদেশকে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ টিকা আসবে।

৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনার জন্য ৬০০ কোটি টাকার বেশি জমা দেয়ার কথা এরই মধ্যে জানিয়েছে। বিনিময়ে সিরাম ইন্সটিটিউট একটি ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে।

এর আগে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর বলেছিল যে, চুক্তির ধারা অনুযায়ী তারা যদি আগামী জুনের মধ্যে টিকা দিতে না পারে তাহলে বাংলাদেশে অগ্রিম এই টাকা ফেরত নেবে।

অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com

ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১