বগুড়ায় যমুনা ব্যাংকের ১৫ কোটি ৮৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকার নথি জালিয়াতি মামলায় ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে বগুড়ার দুদক কার্যালয়ে মামলা করা হয়। এরপর দুপুরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
দুদকের বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- যমুনা ব্যাংক বগুড়া শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক শওগত আরমান, ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজানুল হক, রবিউল ইসলাম এবং কর্মকর্তা আব্দুর রউফ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ মে থেকে চলতি বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সাময়িক বরখাস্ত শওগত আরমান ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ১৫ কোটি ৮৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা মূল্যমানের টেন্ডার ডকুমেন্ট ও পে-অর্ডার জাল করেন। এসব ডকুমেন্ট বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়েছে মেসার্স আমেনা বেগম, টুম্পা এন্টারপ্রাইজ ও শিমু কনস্ট্রাশনসহ অন্তত ১০০ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এ ধরনের জাল ব্যাংক নথি দেয়া হয়েছে।
এর আগে যমুনা ব্যাংকের ওই শাখা থেকে ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক চাকরিচ্যুত এভিপি শওগত আরমানসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলায় শওগত আরমান, তার দুই স্ত্রী ও এক প্রেমিকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে আদালত। এই দুটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজানুল হক ও রবিউল ইসলাম এবং কর্মকর্তা আব্দুর রউফের নাম আসে। এরপর ব্যাংকের ১৫ কোটি ৮৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওঠে শওগতসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১