স্টক ব্রোকার হাউসের শাখা খোলার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ নিয়ে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এর মাধ্যমে ব্রোকারেজ হাউসের শাখা খোলার প্রতিবন্ধকতা দূর হলো।
বুধবার বিএসইসি থেকে ব্রোকারেজ হাউসের শাখা খোলার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত চিঠি স্টক এক্সচেঞ্জে পাঠানো হয়েছে। এতে উপ-পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সই করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের অধীনে কমিশনের নিবন্ধকৃত ব্রোকারেজ হাউসের শাখা অফিস খোলা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়ে কমিশনের ২০১১ সালের ২২ ফেরুয়ারি ইসু্যকৃত নির্দেশনাটি প্রত্যাহার করা হলো। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে ব্রোকারেজ হাউজের ডিজিটাল বুথ স্থাপনের সুযোগ দিয়ে নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সই করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের ভেতরে প্রতিটি বুথ খোলার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে এক লাখ টাকা জমা দিতে হবে। যা দেশের বাইরে খোলার জন্য ১০ লাখ দিতে হবে।
প্রতিটি বুথে অ্যাকাউন্টস খোলা ও বন্ধ, ট্রেডিং, ইত্যাদি সীমাবদ্ধ হবে। যেখানে একজন গ্রাহক প্রতিদিন গ্রামীণ এলাকায় নগদে দুই লাখ টাকা এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে পৌনে ৯ লাখ লেনদেন করতে পারবেন। বুথ থেকে গুজব ছড়ানো প্রতিরোধে ব্রোকার হাউস থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আঞ্চলিক পর্যায়ে বুথের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করার আগে এক বা একাধিক বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম করতে হবে- বলে উলেস্নখ করা হয়েছে নির্দেশনায়।
এতে আরও বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল বুথের জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। যে বুথ স্টক ব্রোকারের প্রধান অফিস দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো ধরনের তৃতীয়পক্ষ দ্বারা পরিচালনা করা যাবে না।
সিটি করপোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ সদর দফতরে ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। এছাড়া দেশের বাইরেও একই জাতীয় স্থানে ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। দেশের বাইরে স্থাপনের ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদনের পাশাপাশি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিতে হবে।
ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে বলে বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে। বুথ চালু করতে চাওয়া ব্রোকার হাউজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এছাড়া প্রতিটি বুথে কাস্টমার সার্ভিসের জন্য একটি ফোন নম্বর, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক সুবিধা, কমপক্ষে একজন অনুমোদিত প্রতিনিধি, ভার্চুয়াল ট্রেডিং মনিটর বা ডিসপে টিকার ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা থাকতে হবে।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১