ঈদের আগে এপ্রিলে ২০০ কোটি ডলার ছাড়ানো রেমিটেন্সের পর মে মাসেও প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে।
ডলারের সঞ্চয় নিয়ে উদ্বেগের এই সময়ে রেমিটেন্স প্রবাহের গতি ধরে রাখতে ইতোমধ্যে নীতিমালায় কিছু ছাড়ও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই ছাড় অর্থনীতিতে ‘ঝুঁকি’ সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করে হুন্ডি বন্ধের তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসীরা ১৩১ কোটি ২১ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। অর্থাৎ, দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৯০ লাখ দেশে স্বজনদের জন্য পাঠিয়েছেন তারা।
রোজার ঈদ সামনে রেখে এপ্রিল মাসের ৩০ দিনে প্রবাসীরা ২০০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। অর্থৎ, দৈনিক গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
ঈদের আগে প্রতিবছরই রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ে। সে হিসেবে এপ্রিলের পর মে মাসেও রেমিটেন্স প্রবাহ ভালো থাকার বিষয়টিকে ‘শুভ লক্ষণ’ হিসেবে দেখছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। ১৯ দিনের গড় অটুট থাকলে মে মাস শেষে রেমিটেন্সের পরিমাণ ২১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে তাদের প্রত্যাশা।
২০২১ সালের মে মাসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার দেশে এসেছিল, যা এক মাসের রেকর্ড রেমিটেন্স; সেটাও ছিল ঈদের মাস।
এ বছর এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়ায় এবং আমদানিতে লাগাম টানায় বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। ১৮ মে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ৪২ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে বর্তমান আমদানির ধারা অনুযায়ী ৬ মাসের ব্যয় মেটানো সম্ভব।
বৈধ উপায়ে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে সরকার নগদ প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করেছিল আগেই।
সোমবার আরেক সিদ্ধান্তে সরকার জানিয়েছে, রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীদের অর্থের উৎস জানতে চাওয়া হবে না। কাগজপত্রের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ায় সামনের দিনগুলোতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ আরো বাড়বে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।
“অনেক সময়ে দেখা যায়, প্রবাসী কর্মীরা যে এলাকায় কাজ করছেন, সেখানে ধারে-কাছে রেমিটেন্স পাঠানোর এক্সচেঞ্জ হাউজ বা ব্যাংক নেই। অন্য কাউকে দিয়েও পাঠাতে পারছেন না কাগজপত্র ও নিয়মের কারণে। প্রবাসীরা ওভারটাইমের মাধ্যমে আয় করা অর্থ কোনো কাগজের মাধ্যমে দেখাতে পারেন না। তাই হুন্ডি নিরুৎসাহিত করতে এবং প্রবাসীদের আয় দেশে আনতে নীতিমালা সহজ করা হল।
“এখন তাদের জন্য রেমিটেন্স পাঠানো সহজ করল সরকার। পাশাপাশি ডলারের রেট হিসেবে তারা এখন আরো বেশি টাকা পাবেন। ইতোমধ্যে কিন্তু রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ছে। নতুন সিদ্ধান্তে মনে হচ্ছে রেমিটেন্স এপ্রিলকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”
কিন্তু ‘ফরমাল’ বা আনুষ্ঠানিক নিয়মাচারে ছাড় দেওয়া হলে অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় ‘ঝুঁকি’ তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতির গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তার মতে, শুধু রেমিটেন্স আনতে ব্যাংকিং চ্যানেলে উৎসাহ দেওয়াই যথেষ্ট নয়, বন্ধ করতে হবে হুন্ডির পথগুলোও।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) এই গবেষণা পরিচালক বলেন, “কাগজপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি তুলে দেওয়ার মানে হল, এখানে ব্যবস্থাপনার বা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের নিয়মে পরিবর্তন আনা হল। এতে ঝুঁকি তৈরি হয় … এক ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়।”
পাচার হওয়া টাকা ফেরত এলে দেশের অর্থনীতিতে কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে- এ প্রশ্নে মোয়াজ্জেম বলেন, “রেমিটেন্সের বাইরে অন্য ধরনের অর্থ প্রবেশের পথ সুগম হওয়ায় সেই টাকা দেশে এলে বৈধ হিসেবেই গণ্য হবে। সেই অর্থ তো আসবে এক শ্রেণির ব্যক্তির কাছেই আসবে। কি পরিমাণ আসবে তার ওপর নির্ভর করবে। এ অর্থ তো শহরকেন্দ্রিকই হবে।
“এখন ডলারের যে বাজার দর… বৈধ পথে আসা অর্থ আবার হুন্ডির মাধ্যমে গিয়ে আবার দেশে আসতে পারে। এজন্য হুন্ডি হওয়ার পন্থাগুলোও বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে।”
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “নীতিমালায় ছাড় না দিয়ে সরকার রেমিটেন্সে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা আরও বাড়িয়ে তিন থেকে চার শতাংশে উন্নীত করতে পরত। আগামী বাজেটেও সেটা করার সুযোগ রয়েছে।”
ডলার সরবরাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নীতি-ছাড়কে ‘আপৎকালীন ছাড়’ হিসেবেই গণ্য করতে চান তিনি।
তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ সংকট থাকায় টাকার বিপরীতে ডলারের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী।
সোমবার ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরো ৪০ পয়সা কমিয়ে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের হার ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ। এর আগে ১৬ মে ৮০ পয়সা কমিয়ে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা।
ঈদের আগে এপ্রিলে ২০০ কোটি ডলার ছাড়ানো রেমিটেন্সের পর মে মাসেও প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে।
ডলারের সঞ্চয় নিয়ে উদ্বেগের এই সময়ে রেমিটেন্স প্রবাহের গতি ধরে রাখতে ইতোমধ্যে নীতিমালায় কিছু ছাড়ও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই ছাড় অর্থনীতিতে ‘ঝুঁকি’ সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করে হুন্ডি বন্ধের তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসীরা ১৩১ কোটি ২১ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। অর্থাৎ, দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৯০ লাখ দেশে স্বজনদের জন্য পাঠিয়েছেন তারা।
রোজার ঈদ সামনে রেখে এপ্রিল মাসের ৩০ দিনে প্রবাসীরা ২০০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। অর্থৎ, দৈনিক গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
ঈদের আগে প্রতিবছরই রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ে। সে হিসেবে এপ্রিলের পর মে মাসেও রেমিটেন্স প্রবাহ ভালো থাকার বিষয়টিকে ‘শুভ লক্ষণ’ হিসেবে দেখছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। ১৯ দিনের গড় অটুট থাকলে মে মাস শেষে রেমিটেন্সের পরিমাণ ২১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে তাদের প্রত্যাশা।
২০২১ সালের মে মাসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার দেশে এসেছিল, যা এক মাসের রেকর্ড রেমিটেন্স; সেটাও ছিল ঈদের মাস।
এ বছর এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়ায় এবং আমদানিতে লাগাম টানায় বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। ১৮ মে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ৪২ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে বর্তমান আমদানির ধারা অনুযায়ী ৬ মাসের ব্যয় মেটানো সম্ভব।
বৈধ উপায়ে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে সরকার নগদ প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করেছিল আগেই।
সোমবার আরেক সিদ্ধান্তে সরকার জানিয়েছে, রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীদের অর্থের উৎস জানতে চাওয়া হবে না। কাগজপত্রের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ায় সামনের দিনগুলোতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ আরো বাড়বে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।
“অনেক সময়ে দেখা যায়, প্রবাসী কর্মীরা যে এলাকায় কাজ করছেন, সেখানে ধারে-কাছে রেমিটেন্স পাঠানোর এক্সচেঞ্জ হাউজ বা ব্যাংক নেই। অন্য কাউকে দিয়েও পাঠাতে পারছেন না কাগজপত্র ও নিয়মের কারণে। প্রবাসীরা ওভারটাইমের মাধ্যমে আয় করা অর্থ কোনো কাগজের মাধ্যমে দেখাতে পারেন না। তাই হুন্ডি নিরুৎসাহিত করতে এবং প্রবাসীদের আয় দেশে আনতে নীতিমালা সহজ করা হল।
“এখন তাদের জন্য রেমিটেন্স পাঠানো সহজ করল সরকার। পাশাপাশি ডলারের রেট হিসেবে তারা এখন আরো বেশি টাকা পাবেন। ইতোমধ্যে কিন্তু রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ছে। নতুন সিদ্ধান্তে মনে হচ্ছে রেমিটেন্স এপ্রিলকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”
কিন্তু ‘ফরমাল’ বা আনুষ্ঠানিক নিয়মাচারে ছাড় দেওয়া হলে অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় ‘ঝুঁকি’ তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতির গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তার মতে, শুধু রেমিটেন্স আনতে ব্যাংকিং চ্যানেলে উৎসাহ দেওয়াই যথেষ্ট নয়, বন্ধ করতে হবে হুন্ডির পথগুলোও।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) এই গবেষণা পরিচালক বলেন, “কাগজপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি তুলে দেওয়ার মানে হল, এখানে ব্যবস্থাপনার বা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের নিয়মে পরিবর্তন আনা হল। এতে ঝুঁকি তৈরি হয় … এক ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়।”
পাচার হওয়া টাকা ফেরত এলে দেশের অর্থনীতিতে কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে- এ প্রশ্নে মোয়াজ্জেম বলেন, “রেমিটেন্সের বাইরে অন্য ধরনের অর্থ প্রবেশের পথ সুগম হওয়ায় সেই টাকা দেশে এলে বৈধ হিসেবেই গণ্য হবে। সেই অর্থ তো আসবে এক শ্রেণির ব্যক্তির কাছেই আসবে। কি পরিমাণ আসবে তার ওপর নির্ভর করবে। এ অর্থ তো শহরকেন্দ্রিকই হবে।
“এখন ডলারের যে বাজার দর… বৈধ পথে আসা অর্থ আবার হুন্ডির মাধ্যমে গিয়ে আবার দেশে আসতে পারে। এজন্য হুন্ডি হওয়ার পন্থাগুলোও বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে।”
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “নীতিমালায় ছাড় না দিয়ে সরকার রেমিটেন্সে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা আরও বাড়িয়ে তিন থেকে চার শতাংশে উন্নীত করতে পরত। আগামী বাজেটেও সেটা করার সুযোগ রয়েছে।”
ডলার সরবরাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নীতি-ছাড়কে ‘আপৎকালীন ছাড়’ হিসেবেই গণ্য করতে চান তিনি।
তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ সংকট থাকায় টাকার বিপরীতে ডলারের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী।
সোমবার ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরো ৪০ পয়সা কমিয়ে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের হার ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ। এর আগে ১৬ মে ৮০ পয়সা কমিয়ে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা।
কোভিড মহামারী পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করলে দেশেও ব্যবসা বাণিজ্য গতি পায়। এতে ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে আমদানি বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় আমদানিকারকদের বেশি ডলার গুনতে হয়। এতে দেশে ডলারের চাহিদা বাড়তে থাকে। এর প্রভাব দেখা যায় নগদ ডলার কেনাবেচায়।
ব্যাংকের পাশাপাশি ডলারের সরবরাহ সংকট দেখা দেয় খোলা বাজারেও। ১৭ মে খোলাবাজারে ডলারের বিনিময় হার উঠেছিল ১০২ টাকায়। সরবরাহ বাড়ায় সোমবার ৯৭ টাকায় লেনদেন হয় ডলার।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, “ইউক্রেইনে যুদ্ধের সময়েও বাংলাদেশে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়ছে, ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে তেমন চাপ অনুভূত হচ্ছে না। মহামারীর ধাক্কা পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানো শুরু হওয়ার কারণেও রেমিটেন্সে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা যায়।”
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩ লাখ ২২ হাজার ৫৮৩ জন বিদেশে গেছেন। তাদের ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশই গেছেন সৌদি আরবে।
চলতি অর্থবছরের গত ১০ মাসে রেমিটেন্স এসেছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, যুক্তরাজ্য থেকে ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ ও কুয়েত থেকে ৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
গত অর্থবছরে দেশে এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। তার আগে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে আসে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
গত অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ছিল ৬ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১