মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় রাখার আহ্বান গভর্নরের

ব্যাংকবীমাবিডি || ২০২২-০৩-১৩ ১০:৩৫:১৪

image

বর্তমানে ৩০ টিরও বেশি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার মাধ্যমে গতবছর ৩.৮ মিলিয়ন লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) খাতে অপারেটরদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিযোগিতায় সবাই যেন ন্যায্য ও সমান সুযোগ পায় সে উদ্দেশ্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

বর্তমানে ৩০ টিরও বেশি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার মাধ্যমে গত বছর ৩.৮ মিলিয়ন লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

তিনি বলেন, "প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বিভিন্ন বিষয়ে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের সুযোগ সুবিধাগুলো যেন অপর একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে কষ্টদায়ক না হয়।" তাই মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা বজায় রাখার অহ্বান জানান তিনি।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) ১০ বছর পূর্তি উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় অপারেটরদের ক্যাশ-আউট এবং অন্যান্য চার্জ সব সময় সাশ্রয়ী পর্যায়ে রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, "বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে আর্থিক লেনদেন অনেকটাই সহজ হয়েছে। টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বা পাঠানোর ক্ষেত্রে যে টাকা চার্জ হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলো নিচ্ছে, সেটি সমস্যা করছে না। কিন্তু এটি যেন ভবিষ্যতে এরকমই থাকে। কেটে নেওয়া চার্জ যেন জনসাধারণের মাঝে কোনো সমস্যা তৈরি না করে।"

গভর্নর আরও বলেন, "গত ১০ বছরে মোবাইল ব্যাংকিং এত ভালো অবস্থানে পৌঁছেছে যে, এটি অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা যেমন- এজেন্ট ব্যাংকিং, উপশাখা ব্যাংকিং এরকম আরও অন্যান্য ব্যাংকিংয়ের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।"

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেন, "মন্ত্রী নয় সাধারণ মানুষ হিসেবে বলতে চাই মোবাইল ব্যাংকিং আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক বড় একটি অবদান রেখেছে। প্রতিদিন টাকার লেনদেনের হিসেব থাকলেও মানুষের মুখের হাসির হিসেব অগণিত। কারণ এর মাধ্যমে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মুখে তাদের প্রয়োজন মেটার হাসি ফুটছে।"

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। তিনি বলেন, সফলতার সাথে ১০ বছর পার করেছে মোবাইল ব্যাংকিং। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মোবাইল ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ  অবদান রাখছে। আশা করছি মোবাইল ব্যাংকিং ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে এবং ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।"

অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com

ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১