আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকিসহন ক্ষমতা নির্ণয়ে নতুন রেটিং

ব্যাংকবীমাবিডি || ২০২০-১২-২১ ২১:১১:৩৫

image

ব্যাংববিহর্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকিসহন ক্ষমতা নির্ণয়ে নতুন নীতিমালা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন এখন থেকে ঝুঁকিবাহিত সম্পদের ভিত্তিতে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ভালো, মোটামুটি বা মন্দ তা বোঝাতে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ এই তিন ধরনের রেটিং দিয়ে বোঝাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে ঝুঁকির ভিত্তিতে এই তিন ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে সবুজ, হলুদ ও লাল অঞ্চলে ভাগ করা হতো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রতি বছরই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঝুঁকিসহন ক্ষমতা নির্ণয় করে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সূচকের ওপর ভিত্তি করে তাদেরকে তিন ভাগে ভাগ করা হতো। যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা বেশি খারাপ তাদেরকে লাল অঞ্চলে নেয়া হতো। যাদের আর্থিক অবস্থা অপেক্ষাকৃত কম খারাপ তাদেরকে নীল অঞ্চলে ফেলা হতো। আর যাদের অবস্থা মোটামুটি ভালো তাদেরকে সবুজ অঞ্চলে ফেলা হতো। লাল অঞ্চলে নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করলে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বাজারে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হতো। এতে গ্রাহকরা আতঙ্কিত হতেন। গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে ঝুঁকিসহন ক্ষমতা নির্ণয়ে নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, খেলাপি ঋণ বা অন্যান্য ঝুঁকিবাহিত সম্পদ বেড়ে গেলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কী পরিণতি হতে পারে তা বোঝার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক স্ট্রেস বা অভিঘাত নির্ণয় করে।

এর ভিত্তিতে প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আলাদা রেটিংও করা হয়। আগে এই রেটিং রঙ দিয়ে প্রকাশ করা হতো। এখন থেকে ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে প্রকাশ করা হবে। ঝুঁকির পাশাপাশি ইনসলভেন্সি বা অক্ষমতা রেটিং করা হয়। সেখানেও রঙের ব্যবহার ছিল। এখন থেকে এই রেটিং সংখ্যা দিয়ে করা হবে। অর্থাৎ ১, ২ ও ৩ সংখ্যা দিয়ে করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ঝুঁকি ও অক্ষমতার যৌথ রেটিংয়ের ক্ষেত্রে যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘এ’১ ও ‘এ’২ রেটিং পাবে সেগুলো সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে বোঝাবে। ‘এ’৩, ‘বি’১ ও ‘বি’২ রেটিং পাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোটামুটিভাবে চলছে এবং ‘বি’৩, ‘সি’১, ‘সি’২ ও ‘সি’৩ রেটিং পাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বলভাবে চলছে বোঝাবে।

অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com

ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১