একজন ভালো ব্যাংকার হওয়ার জন্য সুন্দর ও সাবলীল জীবন যাপনের পাশাপাশি আপনাকে কতগুলো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা বাঞ্চনীয়। আশাকরি এই লেখাটি আপনাকে একজন ভালো ব্যাংকার হতে সহায়তা করবে।
নিজেকে প্রস্তুত করুন
১। সঠিক শিক্ষা নিন
অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংকে কাজ করার জন্য অন্তত একটি স্নাতক ডিগ্রীর প্রয়োজন হবে। এই ডিগ্রী অর্থনীতি, অর্থায়ন, ব্যবসা বা ব্যবসা প্রশাসন মত একটি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের মধ্যে হতে হবে। যে কোন ব্যাংকই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য অধিক মেধা সম্পন্ন ব্যাংকার নিয়োগ দেয়। সুতরাং এর জন্য আপনাকে একটি ভালো বিষয়ের উপর ডিগ্রী নিতে হবে। উপরন্তু আপনি যদি আরও ভালো লেভেলে যেতে চান তাহলে আপনাকে ব্যবসা প্রশাসনের উপর মাষ্টার ডিগ্রী নিতে হবে অথবা এর সাথে সামঞ্জস্য কোন বিষয়ে। যদিও এর জন্য খুব উচু মানের ডিগ্রীর প্রয়োজন হয় না।
২। অভিজ্ঞতা অর্জন
কলেজ বা স্কুলে পড়ার সময় হয়তো আপনাকে ব্যাংকে ইন্টার্ন করার জন্য অফার দিতে পারে তখন আপনি এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারেন। যদি এর জন্য আপনি কোন অর্থ নাও পান তবু তা আপনার জীবনে ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে অনেক ভালো প্রভাব ফেলবে। যখন আপনি একটি উচ্চতর ডিগ্রী শেষে ব্যাংকের জন্য আবেদন করবেন তখন আপনার ইন্টার্নশিপের এই অভিজ্ঞতা অনেক কাজে দিবে।।
৩। পেশাদারী সার্টিফিকেট বিবেচনা করুন
কেউ কেউ পেশাদারী সার্টিফিকেট নিয়ে থাকে। অনেকেই সহজেই ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে অবতরণ করতে পারছে পেশাদারী সার্টিফিকেশন নিয়ে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সার্টিফাইড পাবলিক একাউন্টেন্ট (সিপিএ) নামে সার্টিফিকেশন হয়। এই সার্টিফিকেটটি আপনি অর্জন করে জানতে পেরেছেন শুধুমাত্র অ্যাকাউন্টিং পদ্ধতি সম্পর্কে ও এর বিস্তারিত আলোচনা। এটা শুধু আপনার একাডেমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য। অন্যদিকে বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলোতে কাজ করতে আপনার শিখতে হবে কিভাবে ঋণ দেওয়া হয় এবং এর কাজ পরিচালনা করতে হয়।
৪। ব্যাংকিং চাকরির জন্য আবেদন
যখন আপনি প্রয়োজনীয় শিক্ষা এবং কোন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন তখন আপনি বাণিজ্যিক ব্যাংকিং গুলোতে আবেদন করা শুরু করতে পারেন। প্রথমে আপনি জুনিয়র পদ থেকে শুরু করতে পারেন এই ধরুন জুনিয়র ঋণ অফিসার। ইন্টারভিউ এর সময় নিয়োগকারীগণ প্রযুক্তিগত দক্ষতার দিকে নজর দেয়। যেমন- অ্যাকাউন্টিং এবং ব্যবসা পদ্ধতি সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন এবং কি কাজ পারেন। তাই আপনি যদি ব্যাংকে নিজের একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান এই সমস্ত গুণগুলো আনার জন্য আপনাকে প্রানপন প্রচেষ্টা করতে হবে। তাহলেই আপনি একজন ভালো ব্যাংকার হতে পারবেন।
এই তথ্যগুলো জানুন
১। পণ্য সম্পর্কে জানুন
একজন ভালো ব্যাংকারের জানা জরুরী যে, গ্রাহক কি ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলবে, যেমন- ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট। আর আপনাকেও ব্যাংকের সব নিয়ম কানুন ভালো ভাবে বুঝাতে হবে। একজন গ্রাহক তার আয় বুঝে অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইবে। তাই আপনি একজন সফল ব্যাংকার হওয়ার জন্য তাকে ভালো গাইড দিন এবং আপনার ব্যাংকের প্রতিটি অ্যাকাউন্ট টাইপ সম্পর্কে জানান। আপনি ক্লায়েন্টকে সময় দিন এবং তাকে বুঝাতে চেষ্টা করুন। আপনাকে যখন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তখন এর সব কিছুই সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
২। আপনার ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিন
গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনি সবসময় তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করুন। ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন এবং তাদের স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য সম্পর্কে জানবেন। এভাবে আপনি আপনার গ্রাহকদের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন। তাদের বলুন কিভাবে তারা তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে পারবে।
৩। বিকল্প প্রস্তাব
ক্লায়েন্টদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনাকে একাধিক অফার করতে হবে যে কোন পদ্ধতিটি গ্রাহকের চাহিদা পূর্ণ করবে। একজন গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট অথবা সার্টিফিকেট অ্যাকাউন্ট খোলার পরামর্শ প্রদান করতে পারেন। তাদের আর্থিক লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি বিকল্প প্রস্তাব এবং একটি ভালো সুপারিশ প্রদান করবেন।
৪। সাধারণ সমস্যার সমাধান করবেন কিভাবে?
একজন ব্যাংকার হিসেবে আপনি দিনে অনেক বার গ্রাহকের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনবেন। আপনার যা জানা উচিত তা হল কিভাবে সমস্যা আপনি দ্রুত চিহ্নিত করবেন এবং আরো সহজে সাধারণ সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। আপনি প্রতিটি সমস্যার জন্য অধ্যয়ন করুন এবং গ্রাহকের প্রতিটি সমস্যার জন্য ভালো উপায় বিবেচনা করবেন। দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য সমস্যা সমাধানে আপনার প্রচেষ্টা একটি সফল ব্যাংকার ভিত্তিস্থাপনের অংশ।
উদাহরণস্বরূপ , গ্রাহকদের ঘন ঘন ত্তভারড্রাফট ফি এবং অন্যান্য ব্যাংক ফি মত তাদের অ্যাকাউন্টে চার্জ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য কল করতে পারে। ফি বিভিন্ন প্রকার এর হতে পারে আর এটা নির্ভর করবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট এর ধরনের উপর। এই সমস্ত সমস্যা আপনাকে সাথে সাথেই সমাধান করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
৫। শেখা বন্ধ করবেন না
আপনার কাজের উপর শিক্ষা বন্ধ করবেন না যে পর্যন্ত আপনার প্রশিক্ষণ শেষ না হয়। সর্বদা আপনার কাজ, আপনার ক্লায়েন্ট এবং পুরো ব্যাংকিং শিল্প সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করবেন। আপনার জ্ঞান আরও উন্নত করার জন্য প্রাসঙ্গিক নিবন্ধ এবং প্রকাশনা পড়ার অভ্যাস করুন। আপনি যদি একটি বড় ব্যাংকের জন্য কাজ করেন, তারা শিক্ষা কর্মশালা বা অনুরূপ কিছু অব্যাহত প্রস্তাব দিতে পারে আপনাকে। তাহলে আপনি এই সুযোগটি হাত ছাড়া করবেন না। বিশেষ করে যদি তারা বিনামূল্যে শিক্ষা দেয়। সনামধনন্য আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান যেমন American Institute of Banking (AIB) এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
মন স্থির রাখুন
১। পেশাদার হোন
আপনি সবসময় গ্রাহকদের ভালো মানে সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করবেন। মানুষ আশা করে তাদের ব্যাংকার পেশাদার এবং নির্ভরযোগ্য হোক। তারা আপনার ব্যাংক থেকে আর্থিক কল্যাণ পাওয়ার জন্যই আসে। আপনি প্রতিটি গ্রাহকের সাথেই ভদ্র আচরন করবেন। আপনার ব্যক্তিগত জীবন আর পেশাদারী জীবন এক সাথে করবেন না। সবাইকে সমান সেবা প্রদান করার চেষ্টা করবেন।
২। গ্রাহকের তথ্য গোপন রাখুন
সফল ব্যাংকের মূল গুণাবলী যে তারা সব গ্রাহকের তথ্য গোপন রাখবে। একটি ব্যাংকে গ্রাহকের সকল তথ্য আলাদা আলাদা করে রাখা হয়। বাইরে প্রকাশ করার নিয়ম নেই। আর যদি কেউ করে তাহলে তার উপর আইনগত শাস্তির বিধান আছে।
৩। মনোযোগ দিন
আপনি যখন কোন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট খুলবেন বা কোন লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তখন মনোযোগ দিয়ে করবেন। কারন তখন আপনার মনোযোগ অন্য জায়গায় থাকলে হয়তো ডাবল অ্যাকাউন্ট হতে পারে বা ভুলে অন্য কারো অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যেতে পারে।
৪। সততা
প্রতিটি গ্রাহক তার ব্যাংকারের কাছে সঠিক বিবরন জানতে চাইবে। আপনি সুস্পষ্ট ভাবে তাদেরকে বুঝিয়ে দিন। তারা যদি একবার না বুঝে তাহলে তাদের পারলে পুনরায় বুঝিয়ে দিন। কোন স্বাক্ষরের পূর্বে কোন চুক্তি বা শর্তাবলী থাকলে আগেই জানিয়ে দিন। আপনি কোন তথ্য গোপন করবেন না। গ্রাহকের আস্থা যেন নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
কাজে উন্নতি আনুন
১। ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য করনীয়
সাপ্তাহিক বা মাসিক নিয়মিত বিরতিতে আপনি নিজেই নিজের সম্পর্কে বিবেচনা করুন যে আপনি কি কাজ করলেন। তারপর ভাবুন আপনার কাজের মানদণ্ড সম্পর্কে এবং চিন্তা করুন কিভাবে কাজ সম্পাদান করেছেন। যখন এসব কিছু পর্যালোচনা করবেন আপনি কোন বিষয়টি এখন ও জানেন না তখনই বুঝবেন । আপনার ব্যক্তিগত জীবনের উন্নতির সাথে মিশে আছে আপনার পেশাদারী জীবন। তাই আপনার ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করুন এবং সমাধান করার চেষ্টা করুন। আপনি লক্ষ্য করুন কেন আপনার গ্রাহক আপনার ব্যাংক ছেড়ে আপনার প্রতিযোগী কোন ব্যাংকের কাছ থেকে সেবা গ্রহন করছে। তাহলে আপনার ত্রুটি গুলো চিহ্নিত করতে পারবেন এবং জানবেন কোন সমস্যাটির সমাধান করতে পারেন নি।
২। রাজনীতি এড়িয়ে চলুন
ব্যাংকের ভেতরে কোন প্রকার রাজনীতি করবেন না। রাজনৈতিক কথাবার্তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার ব্যাংক ক্যারিয়ারে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। একে অপরের সাথে মান-অভিমানের সৃষ্টি হতে পারে।
৩। ঠান্ডা মাথায় কাজ করুন
একজন ব্যাংকার হিসেবে আপনাকে সবসময় ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হবে। অনেক সময় গ্রাহক অথবা আপনার সহকর্মীদের মাঝে কেউ খারাপ আচরণ করতে পারে সে সময় রেগে না গিয়ে ধীরে ধীরে ধৈর্য্যরে সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন। মাথা গরম করে আপনি এমন কিছু বললেন যা আপনার উপর পরবর্তীতে প্রভাব ফেলবে। আর আপনি চেষ্টা করবেন কম কথা বলার এতে আপনার ব্যক্তিত্ব বজায় থাকবেব। প্রয়োজনীয় কথা বলার অভ্যাস করতে হবে। গ্রাহকদের শুভ কামনা করতে হবে সব সময়। কারণ গ্রাহকরাই ব্যাংকের প্রধান দূত হিসাবে কাজ করে। তাদের সাথে ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করতে হবে।
৪। বর্তমান পরিস্থিতি বুঝে কাজ করুন
আর্থিক বিশ্ব সব সময় পরিবর্তনশীল এবং একজন সফল ব্যাংকার হওয়ার জন্য আপনাকে তার সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিদিন যে সকল পরিবর্তন গুলো হয় সে সম্পর্কে অবগত থাকুন। তাহলে আপনি আপনার ক্লায়েন্টদেরকে বর্তমান অবস্থার পরিস্থিতি সম্পর্কে পরামর্শ দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি নতুন আপডেট পাওয়ার জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনি গ্রাহককে সঠিক ভাবে জানাতে পারবেন।
৫। বিশ্বস্ত গ্রাহক বেস তৈরি করুন
আপনার ব্যাংকে অধিক টাকা জমা রাখার জন্য গ্রাহকদের সাথে বিশ্বস্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। ব্যাংকের খ্যাতি ধরে রাখার জন্য গ্রাহকদের খুশি করার চেষ্টা করুন। একজন ব্যাংকার হিসেবে আপনি গ্রাহককে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করবেন। আপনি গ্রাহকদের সাথে ব্যক্তিগত ভালো সম্পর্ক গড়ার মাধ্যমে আপনি তাদের দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ধরে রাখতে পারেন।
৬। কর্তব্যনিষ্ঠা ও দায়িত্ব সচেতন
একজন ব্যাংকার এর উপর অর্পিত অনেক দায়িত্ব থাকে। সেই সকল দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকার চেষ্টা করবেন। একজন পেশাজীবি হিসাবে তার পেশার কি কি দায়িত্ব থাবে সে সম্পর্কে অবশ্যই সবসময় খোঁজ রাখবেন। এর সাথে সাথে আপনার করণীয় কি সেই বিষয়ও ঠিক করে নিবেন। একজন ব্যাংকারের জীবন শৃংখলাপূর্ণ থাকবে। সে সাথে তিনি একজন দায়িত্ববান ব্যাংকার হবেন এটাই সকলের আশা থাকবে। তিনি ব্যাংকের একজন ব্যাংকার হিসাবে প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য ও অগ্রগতির ধারা বজায় রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। এটা মাথাই রাখতে হবে প্রতিষ্ঠানের উন্নতি মানে নিজের উন্নতি। আর এভাবেই আপনি একজন ভালো পারবেন।
৭। অন্যান্য গুনাবলী
– প্রচুর জানার মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা বাড়াতে হবে।
– ভালো ব্যাংকার হওয়ার জন্য সৃজনশীল হতে শিখুন।
– একজন ব্যাংকারের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তাই পরিশ্রমী হন এবং অলসতা ত্যাগ করুন।
– একজন ভালো ব্যাংকার হতে হলে আপনাকে ভালো কাজ জানার পাশাপাশি নিজেকে সবার সামনে স্মার্ট ভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
– আপনার কাজের ক্ষেত্রে কখনো মিথ্যে বলবেন না।
– পরচর্চা-পরনিন্দা ও গীবত পরিহার করতে হবে।
– নতুন নতুন সৃষ্ট সমস্যা বুদ্ধিমত্তার সাথে মোকাবিলা করতে হবে।
– তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করুন।
একটি বিষয় খুব পরিষ্কার যে, সর্বোপরি আপনাকে একজন ভালো ব্যাংকার হিসেবে সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং অধ্যাবসায় থাকতে হবে।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১