কয়েকটি ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ব্যবহার করে গ্রাহকদের ঋণ ছাড় করছে। যা বিধিসম্মত নয়, সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই নিজস্ব লেনদেনের বাইরে তৃতীয় পক্ষের অনুকূলে অর্থ ছাড় করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ব্যবহার না করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলাের প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চলতি হিসাব রয়েছে। এ হিসাবে লেনদেন করার জন্য চেক ইস্যু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ চেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আন্তঃব্যাংক কলমানিসহ বিভিন্ন নিজস্ব লেনদেন নিষ্পত্তিতে ব্যবহার করা যায় ।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারে না। কারণ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কারও হিসাব নেই। ফলে অন্য কাউকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেকও দেওয়া হয় না। তারপরও ঋণের অর্থ ছাড়ে বেআইনিভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেক ব্যবহার করার কয়েকটি ঘটনা ধরা পড়েছে। তারা নিয়ম মেনে চেক ইস্যু করলেও এটি ব্যবহার করা হয়েছে ঋণের টাকা তুলে নেওয়ার কাজে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এ কারণে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলাে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ব্যবহার করে ঋণগ্রহীতা বা ঋণগ্রহীতার নির্বাচিত, মনােনীত বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ, লিজ বা বিনিয়ােগের অর্থ ছাড় করছে, যা বিধিসম্মত নয়। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ব্যবহার করে কোনাে ঋণগ্রহীতা বা তাদের নির্বাচিত, মনােনীত বা সরবরাহকারীর অনুকূলে ঋণের টাকা ছাড় করতে পারবে না।
এ আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদন উঠে আসে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক দিয়ে ঋণ বা লিজের অর্থ ছাড়ের তথ্য। তারপর নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পরিদর্শন প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী নতুন প্রজন্মের বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংকসহ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএস), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (পিএলএফএস) ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)-এসব প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু পরিচালক প্রভাব খাটিয়ে বেআইনিভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক দিয়ে ঋণ বা লিজের অর্থ ছাড় করতে বাধ্য করেছেন কর্মকর্তাদের।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১