ভারতীয় অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ক্রাইম পেট্রল দেখে ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা করে ছিনতাইকারীরা। অস্ত্রের যোগান হিসেবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে খেলনা পিস্তল ক্রয় করে তারা।
এরপর ওই অস্ত্র নিয়ে পিপিই পরে চুয়াডাঙ্গার উথলী বাজার সোনালী ব্যাংক শাখায় ঢুকে নগদ ৮ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এসব তথ্য জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার (এসপি) জাহিদুল ইসলাম।
জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারের সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার একমাস পর চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় লুট করা ৫ লাখ ৩ হাজার নগদ টাকা, দুটি খেলনা পিস্তল, দুটি চাপাতি, দুটি মোটরসাইকেল, একটি ল্যাপটপ ও একসেট পিপিই।
গ্রেফতারকৃতরা হল- জেলার জীবননগর উপজেলার দেহাটী ফকিরপাড়ার রফিক উদ্দীনের ছেলে সাফাতুজ্জামান রাসেল (৩০), জাহাঙ্গীর শাহের ছেলে রকি (২৩), মৃত আক্তারুজ্জামান বাচ্চুর ছেলে হৃদয় (২২) ও মফিজুল শাহর ছেলে মাহফুজ আহম্মেদ আকাশ (১৯)।
এদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী সাফাতুজ্জামান রাসেল। সে পুলিশের কাছে জানায়, ভারতীয় সনি টিভির সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রল দেখে এই চারজন ব্যাংক লুটে উদ্বুদ্ধ হয়। সে অনুযায়ী তারা প্রশিক্ষণ নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী অনলাইন মার্কেট প্লেস থেকে সংগ্রহ করে খেলনা পিস্তল। ডাকাতি শেষে দলনেতা রাসেল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গা ঢাকা দেয়। অবশেষে সোমবার ভোরে জীবননগর উপজেলার দেহাটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে অভিযান চালিয়ে বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তারা আগে থেকেই অবগত ছিল বলে পুলিশকে জানায় গ্রেফতারকৃতরা।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ঋণের তাড়নায় রাসেল ব্যাংক লুটের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তারপর বাকি আসামিদেরকে ওই কাজে সম্পৃক্ত হতে উৎসাহ দেয়। তারপর সংঘবদ্ধ হয়ে তারা এ অভিযান সফল করে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, এরপর থেকেই আসামিদের ধরতে মাঠে কাজ করছিল জেলা পুলিশ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বেশ কয়টি ইউনিট। এক মাসের মাথায় চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা। এবং লুটের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম।
এসপি জানান, ভারতীয় অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ক্রাইম পেট্রল দেখে ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা করে ছিনতাইকারীরা। অস্ত্রের যোগান হিসেবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ থেকে খেলনা পিস্তল ক্রয় করে ব্যাংক লুট করে আসামিরা।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১