রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর উচ্চ খেলাপির জন্য নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি করোনাকালীন প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কোন ব্যাংকের কি ধরনের ভূমিকা ছিল সে বিষয়ে জানতে চায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফ’র পূর্বনির্ধারিত এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় গত বছর ঋণ গ্রহীতারা কোনো টাকা পরিশোধ না করলেও তাকে খেলাপি দেখাতে পারেনি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় দিয়ে রেখেছে। এ ছাড়ের কারণে চলতি বছর একজন গ্রাহকের যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তার ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলেও তাকে আর খেলাপি করা যাবে না। এরপরও খেলাপি ঋণ বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে এক লাখ এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। করোনার শুরুর বছর ২০২০-এর ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সে হিসেবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১২ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা।
সর্বশেষ তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংক ২ লাখ ১৯ হাজার ২৯২ কোটি টাকর ঋণ দিয়েছ। যার ২০ শতাংশ বা ৪৪ হাজার ১৬ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। এর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপির পরিমাণ সাত হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। বিডিবিএলের ৫৬০ কোটি, বেসিক ব্যাংকের সাত হাজার ৬১৯ কোটি, জনতা ব্যাংকের ১৩ হাজার ৮৭৩ কোটি, রূপালী ব্যাংকের তিন হাজার ৮৩৪ কোটি এবং সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ছিল ১০ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা।
কোভিড-১৯ এ ব্যাংকিং সেক্টরের ক্ষতি ও গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ। এতে করে ব্যাংকের ক্যামেলস রেটিংয়ের কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা সে বিষয়েও জানতে চায় তারা।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১