কয়েক বছর আগেও ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সন্দিহান ছিলেন ব্লু ফ্যামিলি অফিসের প্রতিষ্ঠাতা আর্মব্রুস্টার। কিন্তু লন্ডনভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান এখন মনে করেন পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। গত মার্চে এক বছরের সর্বনিম্ন দামের পর বিটকয়েনের বাজারমূল্য বেড়েছে ২৭০ শতাংশ। মেক্সিকোর মিডিয়া মোগল রিকার্ডো সালিনাস প্লায়েগো সম্প্রতি এক টুইটে জানান, তিনি তার নগদ অর্থের ১০ শতাংশ বিটকয়েনে বিনিয়োগ করছেন। স্ট্যানলি ড্রাকেনমিলার, পল টিউডর জোনস এবং বিল মিলারের মতো ওয়ালস্ট্রিট লিজেন্ডরাও বিটকয়েন ক্রয়ের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। গত মাসে সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রভাবশালী অর্থ ব্যবস্থাপক রিক রাইডার বলেছিলেন, বিটকয়েন টিকে থাকার জন্যই এসেছে। শুধু টুইটারেই এ ভিডিও ক্লিপটি দেখেছে প্রায় ৯ লাখ দর্শক। মুদ্রানীতি বা কভিড-১৯ সংক্রান্ত অন্যান্য যেকোনো কনটেন্টের চেয়ে অধিক মানুষ তা দেখেছে। এ ব্যাপারে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট জায়ান্ট ব্ল্যাকরকের সিইও ল্যারি ফ্রাঙ্ক বলেন, এর মাধ্যমে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে বিটকয়েন অধিক মানুষের আগ্রহ ও কল্পনা টানতে পেরেছে। তবে অন্যান্য বাজারের বিশাল আকারের তুলনায় এখনো তা ছোট।
সর্বশেষ বিটকয়েনের মান আকাশচুম্বি হয়েছিল ২০১৭ সালে কিন্তু তখন এ খাত এড়িয়ে গিয়েছিলেন অনেক ধনাঢ্য বিনিয়োগকারী। ওয়ারেন বাফেট বিটকয়েনকে ‘মরীচিকা’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন এবং জ্যামি ডিমন এটাকে ‘ফাঁদ’ হিসেবে মন্তব্য করেছিলেন (যদিও পরবর্তী সময়ে এ মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন তিনি)। তখন থেকে সার্বজনীন লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণে হিমশিম খাচ্ছিল বিটকয়েন। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রভাবশালী বিনিয়োগকারীরা বিটকয়েনে দ্বিতীয় দৃষ্টি দিচ্ছে। বিশেষ করে যখন পেপাল ও ভিসার মতো প্রভাবশালী লেনদেন প্রতিষ্ঠান ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ শুরু করেছে তখন অন্যরা তার সম্ভাবনার সুযোগ নিতে চাচ্ছে।
মহামারীতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন নগদ অর্থপ্রবাহ বাড়াচ্ছে এবং সুদহার কমিয়ে শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসছে তখন বিকল্প স্থিতিশীল সম্পদ হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে বিনিয়োগকারীদের কাছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান কয়েনমেট্রোর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কেভিন মারকো বলেন, সাধারণত সংকটের সময় মানুষ নগদ অর্থ মজুদ করতে চায়। কিন্তু প্রধান অর্থনীতিগুলো যখন তাদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন করছে তখন কে নিজের কাছে প্রচুর নগদ অর্থ রাখবে?
তিনি আরো বলেন, কভিড-১৯ মহামারী, মার্কিন নির্বাচন, ব্রেক্সিট এবং সর্বোপরি ২০২০ সাল ডিজিটাল অর্থনীতি নিয়ে পূর্ব ধারণাগুলো ভেঙে দিয়েছে।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১